ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জলাবদ্ধতা নিরসনে পাউবি’র ২৫৯৪ কোটি টাকার প্রকল্প

সুবল বড়ুয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৮
জলাবদ্ধতা নিরসনে পাউবি’র ২৫৯৪ কোটি টাকার প্রকল্প ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা/জলমগ্নতা নিরসন প্রকল্প’ শীর্ষক প্রকল্প

চট্টগ্রাম: নগরের দুঃখখ্যাত জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নেওয়া মেগা প্রকল্পের পাশাপাশি ২ হাজার ৫৯৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকার আরেকটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা/জলমগ্নতা নিরসন প্রকল্প’ শীর্ষক এ প্রকল্পটি ইতিমধ্যে প্রি-একনেকে অনুমোদন পেয়েছে। প্রকল্পটি একনেক পাস হলেই বাস্তবায়নে কাজ শুরু হবে।

  প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নগরে আর কোন জলাবদ্ধতা হবে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আর খবর>>
**
সিডিএর ৫৬১৬ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবি) নির্বাহী প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার সাহা বাংলানিউজকে বলেন, নগরকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত করতে ২ হাজার ৫৯৪ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
যেটির মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত। প্রকল্পে নগরের জলাবদ্ধতা নিয়ন্ত্রণে থাকবে পাম্প হাউস। যাতে বৃষ্টির পানি অল্প সময়ের মধ্যে নিষ্কাশন করা যায়। পাশাপাশি জনদুর্ভোগ কমানোর জন্য খাল খনন, ড্রেজিং ও বর্জ্য ব্যবস্তাপনার মাধ্যমে শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য এ প্রকল্প স্লুইচ গেইট নির্মাণ করা হবে। জোয়ারের পানি ও লবণাক্ত পানি ঠেকাতে কর্ণফুলী নদীর ডান তীরে প্রতিরোধ দেওয়ালের মাধ্যমে নগরকে রক্ষা করা হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রকল্পের অধীনে নগরের নেভাল একাডেমি থেকে ১৫ নম্বর ঘাট এয়ারপোর্ট খাল পর্যন্ত ২ দশমিক ৭ কিলোমিটার রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ করা হবে। এছাড়া নগরের কালুরঘাট ব্রিজ থেকে কাটা খাল পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৬ কিলোমিটার, ১৫ নম্বর ঘাট এয়ারপোর্ট খাল থেকে নেভী এলাকার শেষ প্রান্ত পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার এবং বাংলাবাজার থেকে শাহ আমানত ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার স্লোপ প্রটেকশনসহ ফ্লাড ওয়াল নির্মাণ করা হবে। যেকানে কিছু অংশ তীর প্রতিরক্ষা কাজও করা হবে।

প্রকল্পটি ইতিমধ্যে প্রি-একনেকে পাস হয়েছে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) পাস হলেই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। যোগ করেন পাউবির নির্বাহী প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার সাহা।   

জানা যায়, ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা/জলমগ্নতা নিরসন প্রকল্প’ শীর্ষক এ প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৫৯৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে ২৩টি রেগুলেটর (পাম্প সরবরাহ ও স্থাপন এবং স্টেশন) স্থাপনে ধরা হয়েছে ১০০ কোটি টাকা, দুই দশমিক ৭ কিলোমিটার রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণে ১২০ কোটি ৪ লাখ টাকা, ১৯ কিলোমিটার স্লোপ প্রটেকশনসহ ফ্লাড ওয়াল নির্মাণে ৮৬৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা, ৬ হেক্টর জমি অধিগ্রহণে ৪৯১ কোটি ১৩ লাখ টাকা, প্রায় ২৫০ কিলোমিটার খাল ড্রেজিং/পুনঃখননে ৪১২ কোটি ৬০ লাখ টাকাসহ আরও বেশ কয়েকটি ধাপে মোট ২ হাজার ৫৯৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা ব্যয় হবে।

এদিকে, নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে সিডিএ ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিয়ন্ত্রণকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ শীর্ষক আরেকটি  প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে। এ প্রকল্প ২০২০ সালের জুনে বাস্তবায়ন কাজ শেষ হবে। এ প্রকল্পে নগরের ৩৬টি খালের মাটি অপসারণে, ১৭৬ কিলোমিটার আরসিসি রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ, ৪৮টি পিসি গার্ডার ব্রিজ প্রতিস্থাপন করা হবে। প্রকল্পে বন্যার পানি সংরক্ষণে ৩টি জলাধার, ৬টি আরসিসি কালভার্ট প্রতিস্থাপন, ৫টি টাইডাল রেগুলেটর, ১২টি পাম্প স্থাপন, ৪২টি সিল্ট স্ট্র্যাম্প স্থাপন, ২০০টি ক্রস ড্রেন কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। এছাড়া ১৫ দশমিক ৫০ কিলোমিটার স্থিত রোড সাইড ড্রেনের সম্প্রসারণ, ২০০০টি বৈদ্যুতিক পুল স্থানান্তর, ৮৮০টি স্ট্রিট লাইট স্থাপন এবং ৯২টি ইউটিলিটি স্থানান্তর করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৮

এসবি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।