সোমবার (১৬ জুলাই) চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে এ স্মারকলিপি দেয়া হয়। জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. হাবিবুর রহমান।
এসময় সাংবাদিক নেতারা বলেন, শিশু কন্যা রাইফা’র মৃত্যুর পর চট্টগ্রামের সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটি রাইফার মৃত্যুর জন্য চিকিৎসকের অদক্ষতা, দায়িত্ব অবহেলাকে দায়ী করে তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেন। একইভাবে বেসরকারি হাসপাতাল ম্যাক্স’র বিরুদ্ধেও চিকিৎসার অবহেলার অভিযোগ তুলেন।
নেতারা আরও বলেন, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সহযোগী। সরকার জনগণের দৌরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর। সেই লক্ষ নিয়ে কাজ করছে। কিন্তু সরকারের এ লক্ষ বাস্তবায়নে কতিপয় চিকিৎসক এবং ব্যাঙ্গের ছাতার মতো বেআইনি প্রক্রিয়ায় গড়ে ওঠা বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক বাধাগ্রস্ত করছে। এর মধ্যে ম্যাক্স হাসপাতালটি অন্যতম। ওষুধ প্রশাসনের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনেও তা স্পষ্ট হয়েছে। ম্যাক্স হাসপাতালকে ১৫০ শয্যার আধুনিক হাসপাতাল বলা হলেও হাসপাতালটিতে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নিয়োগকৃত কোন চিকিৎসক, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং প্যাথলজিস্ট নেই। হাসপাতালে রোগীদের ওষুধ সরবরাহের জন্য বৈধ কোন ড্রাগ লাইসেন্স নেই। স্বাস্থ্য অধিদফতর, ওষুধ প্রশাসন এবং র্যাবের পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানেও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ব্যবহার, অশিক্ষিতদের দিয়ে প্যাথলজিস্ট চালানো, অন্য প্যাথলজি ল্যাব থেকে টেস্ট করে এনে নিজেদের প্যাড ব্যবহার করে রোগীদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পেয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এতোসব অনিয়ম থাকা সত্ত্বেও ম্যাক্স হাসপাতাল বন্ধ না করায় সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলেন।
সাংবাদিক নেতারা, চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে উত্থাপিত ৩ দফা দাবি অবিলম্বে বাস্তবায়নের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রণালয়ের অধীন সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতি আহ্বান জানান।
অন্যথায় দাবি আদায়ে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন চট্টগ্রামের সকল সাংবাদিক এবং সাধারণ নাগরিকদের সাথে নিয়ে রাইফার মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত চিকিৎসক, ম্যাক্স হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া ও সাংবাদিকদের সাথে অশোভন আচরণকারী ডা. ফয়সল ইকবালের বিচার দাবিতে কঠোর আন্দোলনের কর্মসুচি দেওয়া হবে বলে নেতারা ঘোষণা দেন।
এসময় অনান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি নাজিমুদ্দীন শ্যামল, সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস, বিএফইউজের নব-নির্বাচিত সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, সিইউজের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, সিইউজের যুগ্ম সম্পাদক সবুর শুভ, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম ইফতেখারুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আহমেদ কুতুব, নির্বাহী কমিটির সদস্য উত্তম সেনগুপ্ত, আজাদী ইউনিট প্রধান খোরশেদ আলম, কর্ণফুলী ইউনিট প্রধান মোহাম্মদ আলী পাশা, প্রিয় চট্টগ্রাম ইউনিট প্রধান বিশু রায় চৌধুরী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৮
এসবি/টিসি