ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মা-মেয়ে হত্যায় তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০০ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৮
মা-মেয়ে হত্যায় তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ বাড়ির রিজার্ভ ট্যাংক থেকে মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার। ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: নগরের খুলশী থানাধীন আমবাগান ফ্লোরাপাস রোড এলাকায় মা-মেয়েকে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

তিনজনের মধ্যে দুইজন নিহত মেহেরুন নেসার বোনের ছেলে ও তাদের এক দোকান কর্মচারী রয়েছেন।

রোববার (১৫ জুলাই) সারারাত থানায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

এখনও এ তিনজন পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ সূত্র।
আর খবর>>
**
শ্বাসরোধে মা, মেয়েকে আঘাত করে খুন
তারা হলেন-মেহেরুন নেসার বোনের ছেলে মুশফিকুর রহমান, বেলাল উদ্দিন ও দোকান কর্মচারী ইমন।

ঘটনার ক্লু উদঘাটনে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আবদুল ওয়ারিশ।

আবদুল ওয়ারিশ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা কাউকে আটক বা গ্রেফতার করিনি। নিহতের আত্মীয়সহ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি।

রোববার মধ্যরাতে নিহত মনোয়ারা বেগমের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান বাদি হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন বলে বাংলানিউজকে জানান সহকারী কমিশনার (বায়েজিদ জোন) সোহেল রানা।

রোববার (১৫ জু্লাই) দুপুর ১২টার দিকে স্থানীয়দের খবরে খুলশী থানার আমবাগান ফ্লোরাপাস রোডে মেহের মঞ্জিলের রিজার্ভ ট্যাংকে মা ও মেয়ের মরদেহ খুঁজে পায় পুলিশ।

নিহত দুইজন হলেন-চাঁদপুর জেলার মতলব পুরানবাজার এলাকার ফজলুর রহমানের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৯৭) ও তার মেয়ে অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকতা শাহ মেহেরুন নেসা বেগম (৬৭)।

মেহেরুন নেসা রুপালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার ছিলেন। কয়েকবছর আগে তিনি অবসরে যান। তিনি অবিবাহিত ছিলেন।

মরদেহগুলো রিজার্ভ ট্যাংক থেকে উদ্ধারের পর মেয়ে মেহেরুন নেসার মাথায় আঘাতের চিহ্ন পেয়েছে পুলিশ। মা মনোয়ারা বেগমের শরীরের কোনো আঘাতের চিহ্ন না পেলেও তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছে পু্লিশ।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৮

এসকে/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।