রোববার (১৫ জুলাই) মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ ও মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধার আদালত এ আদেশ দেন বলে বাংলানিউজকে জানান দুদকের আইনজীবী কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু।
অ্যাডভোকেট কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, ২০১৩ সালে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা স্বর্ণ চোরাচালান মামলায় আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে মোমেন মোকশেদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
তিনি জানান, ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে বিমানবন্দর ব্যবস্থাপকের তৎকালীন ব্যক্তিগত সহকারী মোমেন মোকশেদ, কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আনিসুর রহমান, বিমানের ট্রাফিক হেলপার কেএম নুরউদ্দিন ও দুবাই প্রবাসী আলাউদ্দিন চৌধুরীকে আসামি করে পতেঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক এইচএম রহমত উল্লাহ।
পরে ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর এজাহারভুক্ত চারজন ও জড়িত আরো তিনজনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন এইচএম রহমত উল্লাহ।
জানা যায়, ২০১৩ সালের ১ নভেম্বর দুবাই থেকে আসা আলাউদ্দিন চৌধুরী তার লাগেজ হারিয়ে গেছে অভিযোগ করে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। পরদিন বিমানবন্দরের ‘হারানো ও প্রাপ্তি’ শাখা থেকে অন্যদের সহায়তায় নিয়ম বর্হিভূতভাবে লাগেজ ছাড় করাতে চেষ্টা করেন আলাউদ্দিন চৌধুরী ও মোমেন মোকশেদ। পরে স্ক্যানিং করানোর পর আলাউদ্দিনের লাগেজের ভিতর ২৫টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। অভিযুক্ত অন্য আসামিরা আলাউদ্দিনকে বাঁচাতে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা জব্ধ তালিকা তৈরি, ডিটেনশন মেমো, আটক প্রতিবেদন তৈরির চেষ্টা করেন।
অভিযোগপত্রে তাদের বিরুদ্ধে স্বর্ণ চোরাচালানকারীকে বাঁচাতে মিথ্যা জব্দ তালিকা তৈরি এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৮
এসকে/টিসি