ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণে শিথিলতা চান মেয়র নাছির

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৮
এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণে শিথিলতা চান মেয়র নাছির চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

চট্টগ্রাম: মহাসড়কে পণ্য পরিবহনে এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণে স্কেল ব্যবহার কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত ১৩ টন ওজন পরিবহনে বাধ্যবাধকতা শিথিল করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুই মন্ত্রণালয়ে চাহিদাপত্র (ডিও লেটার) পাঠিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলামের কাছে রোববার (১৫ জুলাই) উপানুষ্ঠানিকভাবে এ চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে।

বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা।


আরও খবর>>
**​
ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন শেষে মেয়র নাছিরকে স্মারকলিপি
তিনি জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বড় দারোগাহাট ও কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ওজন পরিমাপক যন্ত্র স্থাপন করায় পণ্য পরিবহনে ১৩ টনের বেশি পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে পরিবহন ব্যয় প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে গেছে।
অন্যদিকে আইনি জটিলতায় গ্রাহক বা সাধারণ ডিলার বা পাইকাররা চট্টগ্রাম থেকে উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করার ক্ষেত্রে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। ব্যবসায়ীদের মাঝে অসন্তোষ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।   এমতাবস্থায় চট্টগ্রাম অঞ্চলে উৎপাদিত ও আমদানিকৃত পণ্য সামগ্রীর সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনা এবং ব্যবসায়ীবৃন্দের আর্থিক ক্ষতি নিরসনের জন্য মহাসড়কে পণ্য পরিবহনে এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ স্কেল ব্যবহার কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত ১৩ টন ওজন পরিবহনের বাধ্যবাধকতা শিথিল করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মন্ত্রী ও সচিবকে উপানুষ্ঠানিকভাবে এ চাহিদাপত্র পাঠিয়েছেন সিটি মেয়র।

চাহিদাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার অবকাঠামো উন্নয়ন ও বৈপ্লবিক পরিবর্তনে আপনার নেতৃত্ব প্রশংসনীয়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ২১টি স্পটে ২৮টি এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ স্কেল বসানোর কার্যক্রমকে আমি স্বাগত জানাই। বিগত ২০১৭ সালের ১ নভেম্বর থেকে চট্টগ্রামের বড় দারোগাহাট ও কুমিল্লার দাউদকান্দিতে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে ওজন পরিমাপক যন্ত্র স্থাপন করার কারণে পণ্য পরিরবহনে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের দুই এক্সেল ৬ চাকা বিশিষ্ট মোটরযানের মাধ্যমে মাত্র ১৩ টনের অধিক কোনো মাল পরিবহন করতে দেয়া হচ্ছে না। পূর্বে যেখানে এক গাড়িতে ২০/২২ টন পর্যন্ত পণ্য পরিবহন করা সম্ভব হতো সেখানে দুই গাড়িতে করে পণ্য বহন করতে হচ্ছে। ফলে একদিকে পরিবহন ব্যয় দ্বিগুণ বৃদ্ধি ও অন্যদিকে আইনি জটিলতায় প্রকট যানজটের কারণে গ্রাহক বা সাধারণ ডিলার বা পাইকারগণ চট্টগ্রাম থেকে উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী বাজারজাত করতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। দেশের আর কোথাও এধরণের গাড়ির ওজন পরিমাপক যন্ত্র ব্যবহারের বিধান কার্যকর না হওয়ায় ঢাকা বা আশপাশের শিল্পাঞ্চল সমূহের উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী স্বাচ্ছন্দ্যে ২০ থেকে ২২ টন পরিবহন করতে পারছে। যার কারণে একদিকে চট্টগ্রামের পণ্য সামগ্রী বাজার হারাচ্ছে এবং ব্যবসায়ীবৃন্দ প্রতিনিয়ত অসম প্রতিযোগিতার সম্মুখীনসহ বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছে। ’

‘অন্যদিকে, আমদানি রফতানির সাথে জড়িত ব্যবসায়ীগণ তাদের পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার না করে অন্য বন্দর ব্যবহারের দিকে ঝুকে পড়ছে। ফলে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীগণ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এমতাবস্থায় বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলে উৎপাদিত ও আমদানিকৃত পণ্য সামগ্রীর সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনা এবং ব্যবসায়ীবৃন্দের আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তের বিষয়টি সুবিবেচনাপূর্বক দেশের অন্যান্য মহাসড়কে পণ্য পরিবহনে এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ স্কেল ব্যবহার কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ২ (দুই) এক্সেল বিশিষ্ট মোটরযানে ১৩ টন ওজন পরিবহনের বাধ্যবাধকতা শিথিল করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি। ’

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৮

এসবি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।