ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের শিকার মা-মেয়ে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৮
পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের শিকার মা-মেয়ে মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধারের পর স্বজনদের আহাজারি। ছবি: সোহেল সরওয়ার

চট্টগ্রাম: নগরের খুলশী থানাধীন আমবাগান ফ্লোরাপাস রোড এলাকায় মা-মেয়ে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের শিকার বলে জানিয়েছে পুলিশ।

খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, সবকিছু দেখে এ ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে নিশ্চিত হয়েছি। তবে কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড তা বলা যাচ্ছে না।

আরও খবর>>
** 
খুলশীতে রিজার্ভ ট্যাংকে মা-মেয়ের মরদেহ

রোববার (১৫ জু্লাই) দুপুর ১২ টার দিকে স্থানীয়দের খবরে খুলশী থানার আমবাগান ফ্লোরাপাস রোডে মেহের মঞ্জিলের রিজার্ভ ট্যাংকে মা ও মেয়ের মরদেহ খুঁজে পায় পুলিশ।

নিহত দুইজন হলেন চাঁদপুর জেলার মতলব পুরানবাজার এলাকার ফজলুর রহমানের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৯৭) ও তার মেয়ে অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকতা শাহ মেহেরুন নেসা বেগম (৬৭)।

মেহেরুন নেসা রুপালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার ছিলেন। কয়েকবছর আগে তিনি অবসরে যান। তিনি অবিবাহিত ছিলেন।

নিহত মেহেরুন নেসার ভাগিনা বেলাল উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ধারণা করছি আমার খালাদের সম্পত্তি ও টাকা আত্মসাতের জন্য তাদের খুন করা হয়েছে।

বেলাল উদ্দিন বলেন, আমার খালা প্রায় সময় বলতেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা খুব বিরক্ত করছেন। এ জায়গা বিক্রি করে দেবো। ক্রেতা দেখো।

মেহেরুন নেসার প্রতিবেশী মাকসুদুর রহমান বাবুল বাংলানিউজকে বলেন, মেহেরুন নেসার ছোট ভাই মাসুদ আমেরিকা থেকে সকালে বোনের মোবাইলে ফোন দিয়ে নাম্বার বন্ধ পান। পরে আমাকে ফোন দিয়ে খোঁজ নিতে বলেন। আমি সকাল সাড়ে ১০টায় গিয়ে দেখি গেইট বন্ধ। পরে নির্মাণাধীন দ্বিতীয় তলা দিয়ে বাড়ির ভেতর গিয়ে জিনিসপত্র এলোমেলো ও আলমারি ভাঙা দেখতে পাই। পরে পুলিশকে খবর দেই।

খবর পেয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার কুসুম দেওয়ান, উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি-উত্তর) হাসান মোহাম্মদ শওকত আলী, উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আবদুল ওয়ারিশসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৮
এসকে/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।