ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

২৪২৫ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা চসিকের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৮
২৪২৫ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা চসিকের ২৪২৫ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেন চসিকের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। ছবি: সোহেল সরওয়ার

চট্টগ্রাম: ২০১৮-১৯ অর্থবছরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) জন্য ২ হাজার ৪২৫ কোটি ৪২ লাখ ৮২ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ জুলাই) দুপুরে চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এ প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করেন।

চসিকের কে বি আবদুস ছত্তার মিলনায়তনে সিটি মেয়র বলেন, ৬০ বর্গমাইলের এ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা ৬০ লাখেরও বেশি।

এ মহানগরের জনসেবা বিবেচনায় প্রধানতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হচ্ছে চসিক। চসিকের নিকট নগরবাসীর প্রত্যাশা অনেক।
নগরবাসীর আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটনোর প্রত্যাশা ও চট্টগ্রাম মহানগরকে পরিবেশগত, প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ বাসযোগ্য নান্দনিক নগর প্রতিষ্ঠার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করে চসিকের ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ৮৮৩ কোটি ৩৮ লাখ ৭০ হাজার টাকার সংশোধিত বাজেট এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ২ হাজার ৪২৫ কোটি ৪২ লাখ ৮২ হাজার টাকার বাজেট প্রস্তাব করছি।  

সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, আমাদের সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও নগরবাসীর সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সড়ক বাতি জ্বালানো, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবা প্রদান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা, রাস্তাঘাট, নালা নর্দমা মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণমূলক ব্যয় এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনভাতাদি নির্বাহ করতেই সিংহভাগ অর্থ ব্যয় হয়। বাজেট যেকোন প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের বার্ষিক খতিয়ানই শুধু নয়, তা আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়স কর্মকাণ্ডের আশা-প্রত্যাশার প্রতিচ্ছবিও বটে। যার মাধ্যমে ব্যবস্থাপনার সকল বর্তমান কার্যক্রমকে নিয়ন্ত্রণ করা হয় এবং ভবিষ্যতের কাঙ্খিত লক্ষ্য বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আমাদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতায় নগরবাসীর সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। যোগ করেন সিটি মেয়র।

চসিক সূত্রে জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য ২ হাজার ৪২৫ কোটি ৪২ লাখ ৮২ হাজার টাকার প্রস্তাবিত মোট বাজেটের মধ্যে চসিকের নিজস্ব খাত থেকে আয় ধরা হয়েছে ৬৯৪ কোটি ৯২ লাখ ৮২ হাজার টাকা।  এর মধ্যে বকেয়া কর ও অভিকর ১৯১ কোটি ৮ লাখ, হাল কর ও অভিকর ১৪৪ কোটি ৩৪ লাখ, অন্যান্য করাদি ১৩৩ কোটি ২ লাখ, ফিস ৯৯ কোটি ৮০ লাখ, জরিমানা ৫০ লাখ, সম্পদ হতে অর্জিত ভাড়া ও আয় ৭৩ কোটি ১০ লাখ, লভ্যাংশ ৫ কোটি, বিবিধ আয় ২৩ কোটি ৪২ লাখ, ভর্তুকি ২৪ কোটি ৬৫ লাখ ধরা হয়েছে। এছাড়া ত্রাণ সাহায্য ২০ লাখ, উন্নয়ন অনুদান ১ হাজার ৬৮০ কোটি ও অন্যান্য উৎস ৫০ কোটি ৩০ লাখসহ মোট আয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭৩০ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

অন্যদিকে, ‘বাজেটে বেতনভাতা ও পারিশ্রমিক খাতে ২৭২ কোটি ৬৮ লাখ, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণে ৬৬ কোটি ৬৫ লাখ, ভাড়া-কর ও অভিকর খাতে ৮ কোটি ২৫ লাখ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও পানি খাতে ৫১ কোটি ৭৫ লাখ, কল্যাণমূলক ব্যয় খাতে ২৯ কোটি ৫০ লাখ, ডাক তার ও দূরালাপনী খাতে ১ কোটি ৮৬ লাখ, আতিথেয়তা ও উৎসব খাতে ৪ কোটি ৩০ লাখ, বীমা, ভ্রমণ ও যাতায়াত খাতে ১ কোটি ৭০ লাখ, বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা খাতে ৬ কোটি ১০ লাখ, মুদ্রণ ও মনিহারি খাতে ৫ কোটি ৩৪ লাখ, ফিস বৃত্তি ও পেশাগত ব্যয় খাতে ১ কোটি ২৩ লাখ, প্রশিক্ষণ ব্যয় খাতে ৭২ লাখ, বিবিধ ব্যয় খাতে ১৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ও ভাণ্ডারখাতে ৭৪ কোটি টাকাসহ ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৪২ কোটি ৮৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা। এছাড়া ত্রাণ ব্যয় খাতে ২০ লাখ, বকেয়া দেনা খাতে ১৭৩ কোটি ২০ লাখ, স্থায়ী সম্পদ খাতে ১২১ কোটি ৫০ লাখ, উন্নয়ন (রাজস্ব তহবিল ও অন্যান্য) খাতে ১৯৩ কোটি, উন্নয়ন (এডিপি ও অন্যান্য) ১ হাজার ৩৫৫ কোটি এবং  অন্যান্য ব্যয় খাতে ৩৭ কোটি ৭০ লাখসহ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৮৮০ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ’

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহার সভাপতিত্বে বাজেট অধিবেশনে প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা নাজিয়া শিরিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, সচিব মো. আবুল হোসেন, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, কাউন্সিলর মো. শফিউল আলম, নাজুমল হক ডিউক, মো. গিয়াস উদ্দিন, আবিদা আজাদ,  আবদুল মালেক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৮
এসবি/টিসি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।