বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান সমিতির সভাপতি ডা. আবুল কাশেম।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘পরিবেশ-পরিস্থিতি ও রোগীদের দুর্ভোগের বিষয় চিন্তা করে আমরা চট্টগ্রামের সকল বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডাকা ধর্মঘট সাময়িক স্থগিত করেছি।
এর আগে রোববার (০৮ জুলাই) ত্রুটিপূর্ণ লাইসেন্সে অদক্ষ-অনভিজ্ঞ ডাক্তার-নার্স দ্বারা পরিচালিত ম্যাক্স হাসপাতালসহ নগরের বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে র্যাবের অভিযানের পর হঠাৎ করে চট্টগ্রামে স্বাস্থ্যসেবার বন্ধের ঘোষণা দেন বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান সমিতি।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চট্টগ্রাম জেলার নেতারা এ স্বাস্থ্যসেবা বন্ধের ঘোষণার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
এরপর থেকেই নগরসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো বন্ধ থাকায় সেবাপ্রার্থীরা সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন। সোমবার (০৯ জুলাই) সকাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে।
অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান সমিতির সভাপতি ডা. আবুল কাশেম বলেন, ‘আমরা অনেক কষ্টের মাধ্যমে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো প্রতিষ্ঠা করেছি। এসব বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো আমরা সুষ্ঠুভাবে চালাতে চাই। এসব প্রতিষ্ঠানের ভুল-ভ্রান্তি আমরা সংশোধন করবো। কিন্তু এসব বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে যদি লাখ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। তা পরিশোধ কীভাবে করবে? এসব বিবেচনায় আমরা ধর্মঘট ডেকেছিলাম। সাময়িক দুর্ভোগের জন্য আমরা রোগীদের কাছে মাফ চাই। ’
অভিযানের মুখে হঠাৎ স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ ঘোষণা চট্টগ্রামে
চমেকের ইমেইল থেকে বেসরকারি হাসপাতাল বন্ধের বিজ্ঞপ্তি!
ডাক্তারের অবহেলায় শিশু রাইফার মৃত্যু তদন্তে প্রমাণিত
হাসপাতালে ধর্মঘট সরকারকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র
রোগী জিম্মি করে ‘খেলা’ বন্ধের দাবি ক্যাবের
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০১৮
এসবি/টিসি