অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম। অভিযানে সহযোগিতা করছেন ঢাকার স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রতিনিধি ডা. দেওয়ান মো. মেহেদি হাসান, ওষুধ প্রশাসন চট্টগ্রামের তত্ত্বাবধায়ক গুলশান জাহান।
গুলশান জাহান বাংলানিউজকে বলেন, ম্যাক্স হাসাপাতালের অষ্টম তলায় নিজস্ব ফার্মেসির লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর। এত দিন লাইসেন্সবিহীন চলছিল।
তিনি বলেন, হাসপাতালে অনুমোদিত ফার্মাসিস্ট নেই। ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন রেজিস্ট্রেশন নম্বরও নেই।
গুলশান জাহান বলেন, প্রসিকিউশন তৈরি করেছি। অভিযান শেষে ম্যাজিস্ট্রেট শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবেন।
অভিযানে র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা ছাড়াও শতাধিক র্যাব অংশ নেন।
ত্রুটিপূর্ণ লাইসেন্সে, অদক্ষ-অনভিজ্ঞ ডাক্তার-নার্স দ্বারা পরিচালিত নগরের মেহেদিবাগের বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে অভিযান শুরু করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সম্প্রতি আড়াই বছর বয়সী শিশু রাইফা খান ভুল চিকিৎসা ও ডাক্তার-নার্সদের অদক্ষতা ও অবহেলায় এ হাসপাতালে মারা যায়। এরপর স্বাস্থ্য অধিদফতরের পর্যবেক্ষণ এবং সিভিল সার্জন মো. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটিতে এ হাসপাতালের নানা অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম উঠে আসে।
ম্যাক্স’র ল্যাবে পরীক্ষা হয় না, রিপোর্ট হয়!
সেই ম্যাক্স হাসপাতালে র্যাবের অভিযান
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৪ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৮
এসকে/টিসি