ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ম্যাক্স হাসপাতালে ডাক্তার-নার্স-কর্মচারীর নিয়োগপত্র নেই

জমির উদ্দিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২১ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০১৮
ম্যাক্স হাসপাতালে ডাক্তার-নার্স-কর্মচারীর নিয়োগপত্র নেই বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালে ব্যাপক অনিয়ম ও শর্ত লঙ্ঘন হয়েছে বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

চট্টগ্রাম: নগরের মেহেদিবাগে অবস্থিত বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালে ব্যাপক অনিয়ম ও শর্ত লঙ্ঘন হয়েছে বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। শুধু হাসপাতালটির লাইসেন্সে ত্রুটি নয়, ডাক্তার, নার্স, কর্মচারীদের নিয়োগপত্র পাওয়া যায়নি বলে পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক কাজী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এসব অনিয়মের ব্যাখ্যা চেয়ে ম্যাক্স হাসপাতালের পরিচালককে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে উত্তর দিতে বলেছি। অন্যথায় হাসপাতালটি বন্ধসহ লাইসেন্স বাতিল করা হবে।

২৯ জুন (শুক্রবার) রাতে সমকালের চট্টগ্রাম ব্যুরোর স্টাফ রিপোর্টার রুবেল খানের আড়াই বছর বয়সী মেয়ে রাইফা খান ম্যাক্স হাসপাতালে ভুল চিকিৎসা ও অবহেলায় মারা যায়।  

ভুল চিকিৎসার জন্য দায়ী চিকিৎসকদের বিচারের দাবিতে সাংবাদিকদের চলমান আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তদন্ত কমিটি গঠন করে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

গত ১ জুলাই (রোববার) কমিটির প্রধান স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) কাজী মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল ম্যাক্স হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।

ওইদিন রাতে ম্যাক্স হাসপাতালে সাংবাদিকদের সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনার পর চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জাহাঙ্গীর হোসেন। ৩ জুলাই তিনি হাসপাতালটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর কারণ দর্শানোর একটি নোটিশ দেন।

নোটিশে তিনি হাসপাতালে ৬টি, প্যাথলজিতে ২টি ও ব্লাড ব্যাংকে ১টিসহ মোট ৯টি অনিয়ম তুলে ধরেন।

হাসপাতালের অনিয়মগুলো হলো-হাসপাতালটির লাইসেন্সে ত্রুটি, ডাক্তারের নিয়োগগপত্র না থাকা, বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের তালিকা না থাকা, নার্সের নিয়োগপত্র না থাকা, ক্লিনার নিয়োগের কোনো তথ্য না থাকা ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীর তথ্য না পাওয়া।

প্যাথলজিতে রিপোর্ট দানকারী বা প্যাথলজিস্টের তথ্য ও মেডিকেল টেকনোলজির তথ্য পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া হাসপাতালে কোনো ব্লাড ব্যাংক নেই বলেও নোটিশে উল্লেথ করা হয়।

নোটিশে স্বাস্থ্য অধিদফতর হাসপাতাল পরিচালককে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে এসব অনিয়মের সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা চায় এবং অন্যথায় হাসপাতালটি বন্ধসহ লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন মো. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বাংলানিউজকে বলেন, হাসপাতাল পরিদর্শন করে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক কাজী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ওই হাসপাতাল সম্পর্কে একটি পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। এ সময় তিনি ৯টি অনিয়মের বিষয়ে আগামী ১৫দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা চেয়েছেন।

ম্যাক্স হাসপাতালে মহাব্যবস্থাপক রনজন প্রসাদ দাশগুপ্ত বাংলানিউজকে বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতর তৎক্ষণাৎ চাওয়ায় তথ্যগুলো দেওয়া সম্ভব হয়নি। তারা ১৫ দিনের মধ্যে উত্তর দিতে বলেছেন, এর মধ্যে আমরা উত্তর পাঠিয়ে দেবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, জুলাই ০৫ , ২০১৮
জেইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।