রাইফা খান দৈনিক সমকালের স্টা্ফ রিপোর্টার রুবেল খানের মেয়ে।
সাংবাদিক রুবেল খান বাংলানিউজকে বলেন, রাইফার ঠাণ্ডা লেগে গলা ব্যথা শুরু হয়।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের পরামর্শে শিশু বিশেষজ্ঞ বিধান রায় চৌধুরীকে বিষয়টি জানাই। তিনিও একই ধরনের ওষুধ দেন। ওই ওষুধ দেওয়ার পর থেকে রাইফার খিঁচুনি শুরু হয়। তখন ম্যাক্স হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক দেবাশীষকে জানালে তিনি ডা. বিধান রায় চৌধুরীর সাথে কথা বলে ‘সেডিল’ ইনজেকশন পুশ করেন। এরপরেই রাইফার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। ’
পরে তাৎক্ষনিকভাবে রাতেই চট্টগ্রামের সাংবাদিকনেতারা একত্রিত হয়ে ম্যাক্স হাসপাতালে অভিযুক্ত ডাক্তারসহ ৩ জনকে থানায় সোপর্দ করে।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম বাংলানিউজকে বলেন, ম্যাক্স হাসপাতালের ঘটনায় রাতেই এক চিকিৎসকসহ ৩ জনকে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে সাংবাদিক ও চিকিৎসক নেতাদের সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। কমিটিতে জেলা সিভিল সার্জন, সাংবাদিক ও পুলিশের প্রতিনিধি থাকবেন। তদন্তে কমিটির প্রতিবেদনে চিকিৎসায় কোন অবহেলা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বাংলানিউজকে বলেন, সাংবাদিক কন্যার মৃত্যুর বিষয়টি শুনেছি। ঘটনার বিস্তারিত জানতে আমি এখন ম্যাক্স হাসপাতালে এসেছি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৩ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১৮
এসবি/টিসি