বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) সমুদ্রসীমায় দুই দেশের নৌবাহিনী জাহাজ ও মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফটের (টহল বিমান) অংশগ্রহণে এ টহল শুরু হবে।
কো-অর্ডিনেটেড পেট্রোল (করপেট) শিরোনামের টহলটি শুরু হবে বাংলাদেশ জলসীমা থেকে।
বুধবার (২৭ জুন) চট্টগ্রামের বানৌজা ঈসা খান এসএমডব্লিউটি মিলনায়তনে করপেটের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন ও ভারতীয় নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল সুনীল লানবা।
নৌবাহিনী সূত্র জানায়, যৌথ এ টহলে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ 'আবু বকর' ও 'ধলেশ্বরী' এবং টহল বিমান অংশ নেবে। ভারতের যুদ্ধজাহাজ 'সাতপুরা' ও 'খেদমত' এবং টহল বিমান থাকবে যৌথ টহলে।
এ ছাড়া পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও অভিজ্ঞতা অর্জনের লক্ষ্যে দুইজন ভারতীয় নৌবাহিনী কর্মকর্তা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজে এবং দুইজন বাংলাদেশি নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজে বিশাখাপত্তনম যাবেন।
বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, একটি দেশের পক্ষে সমুদ্রসীমায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। যৌথ টহল সাগরে নিজ নিজ জলসীমায় অপরাধ সম্পর্কিত তথ্য আদান-প্রদান, তথ্যাদির সঠিক ব্যবস্থাপনা, অভিজ্ঞতা বিনিময়, অবৈধকাজে জড়িত জাহাজ চিহ্নিত করাসহ বিভিন্ন অপরাধ নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত ভালো প্রতিবেশী। দুই দেশের নৌবাহিনীর যৌথ টহল মেরিটাইম সেক্টরে সিকিউরিটি নিশ্চিত করবে।
ভারতীয় নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল সুনীল লানবা সাংবাদিকদের বলেন, এটি প্রথম যৌথ টহল, একটি গুরুত্বপূ্র্ণ উদ্যোগ। দুই দেশ এর ফলে উপকৃত হবে।
তিনি বলেন, দুই দেশের নৌবাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে যৌথ টহলে একটি সাধারণ চিত্র উঠে আসবে। একই সঙ্গে সাগরে অবৈধ কর্মকাণ্ড, মাদক চোরাচালান বন্ধ হবে। আন্তর্জাতিক মেরিটাইম রুল মেনেই যৌথ টহল পরিচালিত হবে।
বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক এ যৌথ টহলের মাধ্যমে আরও দৃঢ় হবে এবং অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৪ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৮
এআর/টিসি