সোমবার (২৫ জুন) সকালে নগরের হালিশহরে বিভিন্ন এলাকায় এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
পানিবাহিত রোগ জন্ডিসে (হেপাটাইটিস-ই ভাইরাস) আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যুর অভিযোগ আসার পর এমন নির্দেশনা দেওয়া হলো।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বাংলানিউজকে বলেন, হালিশহরে কয়েকজন জন্ডিস আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে বলে অভিযোগ পেয়েছি।
তিনি জানান, এরপরও পানি বাহিত রোগ থেকে বাঁচতে ১০টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ লক্ষে সচেতনতা বাড়াতে ৫০ হাজার লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি এক লাখ ৮৫ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণে টেবলেট দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনাগু্লো হলো- বিশুদ্ধ পানি পান ও ব্যবহার নিশ্চিত করা। পানি ৩০ মিনিট ফুটিয়ে ফিটকিরি ব্যবহার করে অথবা পাঁচ লিটার পানিতে একটি পানি বিশুদ্ধকরণ টেবলেট দিয়ে আধ ঘণ্টা থেকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবহার করা, হোটেল বা দোকানের পানি খাওয়া বন্ধ করা। এছাড়া রাস্তায় খোলা জায়গার শরবত, খাবার খাওয়া বন্ধ করা, এলাকায় কারও চোখ হলুদ হলে, ডায়রিয়া হলে বা তিনদিনের বেশি জ্বর থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া। হালিশহর বিডিআর মাঠ থেকে বিশুদ্ধকরণ টেবলেট সংগ্রহ করা, গর্ভবতী মহিলার চোখ হলুদ হলে স্থানীয় হাসপাতালে যোগাযোগ করা, বাসার ছাদে বা পানির নিচে সংরক্ষিত পানির ট্যাংক চারমাস পরপর ব্লিচিং পাউডার দিয়ে পরিষ্কার করা, খাবারের আগে ও মলত্যাগের পরে হাত অন্তত ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে পরিষ্কার করা, হাতের নখ ছোট রাখা, খালি পায়ে বাথরুমে না যাওয়া এবং বাথরুমে আলাদা জুতা ব্যবহার করা, বিশুদ্ধ পানি সংরক্ষণের পাত্রটির নিচের অংশ নিয়মিত পরিষ্কার করা এবং ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখা, পাতলা পায়খানা হলে ওরস্যালাইন ও ঘরের তৈরি চিনি লবন মিশ্রিত শরবত বেশি বেশি পান করা এবং আতংকিত না হয়ে বিশুদ্ধ খাবারের পানি খাওয়া ও ব্যবহার করা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, ২০ জুন, ২০১৮
জেই্উ/টিসি