অলি-গলি ছাড়িয়ে বাসা-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও ঢুকে পড়েছে পানি। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন হাজারো মানুষ।
চট্টগ্রাম: মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে ভারী বৃষ্টিতে নগরের নিম্নাঞ্চলে আবারো জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। নিম্নাঞ্চলের অলি-গলিতে হাঁটু থেকে কোমর সমান পানির পাশাপাশি এবার সড়কেও পানি উঠে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
অলি-গলি ছাড়িয়ে বাসা-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও ঢুকে পড়েছে পানি। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন হাজারো মানুষ।
সোমবার (২৫ জুন) সকাল থেকেও আকাশ মেঘলা রয়েছে এবং গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ শেখ ফরিদ আহমদ বাংলানিউজকে জানান, মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আজ (সোমবার) ও আগামীকালও (মঙ্গলবার) এ ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।
সোমবার (২৫ জুন) সকাল নয়টা থেকে পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে নগরের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে বলেও জানান এ আবহাওয়াবিদ।
এদিকে, ভারী বৃষ্টিপাত ও জোয়ারের পানিতে নগরের চকবাজার, বাদুরতলা, বহদ্দারহাট, খাতুনগঞ্জ, বকশিরহাট, আগ্রাবাদের সিডিএ আবাসিক, ২ নম্বর গেইট, মুরাদপুরসহ নগরের নিম্নাঘ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে হাঁটু থেকে কোমর সমান পানি পেরিয়ে অনেক কর্মস্থলে যেতে গেছে।
নাছির উদ্দিন নামে চকবাজার এলাকার বাসিন্দা বাংলানিউজকে বলেন, বর্ষাকাল আসলেই আমাদের দুর্ভোগের শেষ থাকে না। বর্ষাকালে খালের ওপর ব্রিজ তৈরি করছে। এখন নির্মাণ কাজ প্রায় বন্ধ। ভেবেছিলাম জলাবদ্ধতার মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। তাই এ বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা অনেক হ্রাস পাবে। কিন্তু তা আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে। বৃষ্টি আর জোয়ারের পানিতে সড়কে কোমড় সমান পানি উঠে যাচ্ছে। আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই।
বাদুরতলা এলাকার সাকিব বাংলানিউজকে বলেন, বর্ষাকাল আসলেই আমরা পানিবন্দি থাকি। বৃষ্টি হলেই বাদুরতলায় পানি উঠে যায়। খাল-নালা পরিস্কারের তেমন কোন উদ্যোগ নেই। চাকতাই খাল খনন করা হয়নি। কিভাবে জলাবদ্ধতা কমবে। নগরের জলাবদ্ধতা কমাতে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণেরও জোর দাবি জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৫ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৮
এসবি/টিসি