ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বর্জ্যের দূষণ থেকে হালদা বাঁচাতে মানববন্ধন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৫ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৮
বর্জ্যের দূষণ থেকে হালদা বাঁচাতে মানববন্ধন শিল্প বর্জ্যের দূষণে বিপর্যস্ত হালদা নদীকে দূষণের হাত থেকে বাঁচানোর দাবিতে মানববন্ধন

চট্টগ্রাম: শিল্প বর্জ্যের দূষণে বিপর্যস্ত হালদা নদীকে দূষণের হাত থেকে বাঁচানোর দাবিতে মানববন্ধন করেছে হালদাপারের মানুষ। শনিবার (২৩ জুন)বিকেলে হাটহাজারীর মদুনাঘাট এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এতে হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলার দক্ষিণ মাদার্শা, শিকারপুর, উত্তর মাদার্শা, উরকিচর ও বুড়িশ্চর ইউনিয়নের বাসিন্দারা অংশ নেন। তাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন পরিবেশবাদী সংগঠন হালদা রক্ষা কমিটি ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)।

মানববন্ধনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও হালদা গবেষক ড. মনজুরুল কিবরীয়া বলেন, নগরের বায়োজিদ, কুলগাঁও থেকে নন্দীর হাট পর্যন্ত সব কারখানার বর্জ্য ফেলা হচ্ছে হালদা নদীর বিভিন্ন শাখা খালে। এসব বর্জ্য খাল বেয়ে পড়ছে হালদা নদীতে।

ফলে দূষিত হচ্ছে খালদা, নষ্ট হচ্ছে জীববৈচিত্র। মরছে মাছ।

তিনি বলেন, হালদাকে বাঁচাতে চাইলে অবিলম্বে এসব বর্জ্য ফেলা বন্ধ করতে হবে। হালদার শাখা খালগুলো বর্জ্যমুক্ত করতে না পারলে হালদা নদীকে রক্ষা করা যাবেনা।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) বোর্ড সদস্য জসিম উদ্দিন শাহ বলেন, হালদাকে দূষণের হাত থেকে বাঁচাতে হলে হাটাখী, খন্দকিয়া, মাদারী খালকে দূষণমুক্ত রাখতে হবে। আমরা শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নই, কিন্তু শিল্পবর্জ্যের বিরুদ্ধে। যারা দূষিত বর্জ্য লোকালয়ে ফেলছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

শিকারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর বলেন, হালদার মতো নদী বিশ্বে বিরল। কিন্তু আমাদের অবহেলায় নদীটি মরতে বসেছে।

সচেতন নাগরিক সমাজের আহবায়ক আমিনুল ইসলাম মুন্না বলেন, অবিলম্বে শিল্প ও আবাসিক বর্জ্যের দূষণ থেকে হালদা ও এর শাখা নদীগুলোকে বাঁচাতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। অন্যথায়, জেলা প্রশাসনকে স্মারকলিপি এবং পরিবেশ অধিদফতর ও দুষণের জন্য দায়ী শিল্প প্রতিষ্ঠান ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, রাজনীতিবিদ রাসেদুল আলম, পশ্চিম গুজরা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য শাহাবুদ্দিন আরিফ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৮

এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।