ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

৬ প্যাথলজিস্টের অভাবে দিনে ৩০ লাখ টাকা হাতছাড়া!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১১ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৮
৬ প্যাথলজিস্টের অভাবে দিনে ৩০ লাখ টাকা হাতছাড়া! চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রতিদিন রোগী ভর্তি হয় ৩ হাজারের বেশি। হাসপাতালের ল্যাবরেটরিতে বিভিন্ন রোগ নির্ণয় করে একজন রোগী থেকে সর্বনিম্ন ১ হাজার টাকা নিলেও দিনে আয় ৩০ লাখ টাকা। কিন্তু ল্যাবরেটরিতে মাত্র ছয়জন প্যাথলজিস্ট না থাকায় এ আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, বর্তমানে হাসপাতালে রোগ নির্ণয়ের জন্য ল্যাবরেটরিতে কাজ করছেন ছয় প্যাথলজিস্ট। ছয় প্যাথলজিস্ট দিয়ে ৩ হাজার রোগীর রোগ নির্ণয় করা সম্ভব নয়।

সরকার আরও ছয় প্যাথলজিস্ট নিয়োগ দিলে এ ঘাটতি দূর হতো। তখন বিভিন্ন রোগ নির্ণয় করে গড়ে জন প্রতি এক হাজার টাকা পেলেও দিনে ৩০ লাখ টাকা আয় হতো।

সূত্র মতে, সরকারি হাসপাতালে রক্তের একটি নমুনা পরীক্ষা করানোর খরচ ১৫০ টাকা। আলট্রাসনোগ্রাফি করাতে ২০০ টাকা। এ ছাড়া মূত্র, মল, সিরাম বিলুরুবিন, কোলেস্টেরলসহ আরও বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করানোর প্রয়োজন পড়ে একজন রোগীর। সব মিলিয়ে জনপ্রতি গড়ে সর্বনিম্ন ১ হাজার টাকা খরচ হয় রোগ নির্ণয় করতে। কিন্তু ল্যাবরেটরিতে ছয়জন প্যাথলজিস্টের অভাবে বেশিরভাগ রোগীর রোগ নির্ণয় করা যাচ্ছে না। ফলে বিশাল এ আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।

এসব পরীক্ষা করাতে চমেক হাসপাতালের চেয়ে বেসরকারি হাসপাতালে কোথাও কোথাও তিন গুণ পর্যন্ত বেশি খরচ পড়ছে। এ ছাড়া সিংহভাগ চিকিত্সক ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে কমিশন নেন। আর ওই কমিশনের টাকা রোগীদের পকেট থেকে আদায় করা হচ্ছে। তাই চমেক হাসপাতালে সব রোগীর রোগ নির্ণয় করতে পারলে একদিকে যেমন আয় হতো, অন্যদিকে রোগীর কাছ থেকেও গচ্ছা যেত না হাজার হাজার টাকা।

চমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আখতারুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, হাসপাতালে যারা ভর্তি হন তারা বেশিরভাগ রেফার করা রোগী। ফলে তাদের রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসাসেবা দিতে হয়। রোগ নির্ণয়ে কারও ৬০০ থেকে ১২০০ টাকা আর কারও দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত ফি আসে। জনপ্রতি গড়ে ১ হাজার টাকা পেলেও দিনে ৩০ লাখ টাকা আয় হতো।

তিনি জানান, বর্তমানে ল্যাবরেটরিতে ছয় প্যাথলজিস্ট কাজ করছেন। এসব প্যাথলজিস্টের পক্ষে তিন হাজার রোগীর রোগ নির্ণয় করা সম্ভব নয়। সরকার যদি আরও ছয়জন প্যাথলজিস্ট দিতেন তাহলে দিনে ৩০ লাখ টাকা আয় হতো।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, ২০ জুন, ২০১৮
জেইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad
welcome-ad