এবারের আলোচ্য বিষয়গুলো হচ্ছে-অক্সিজেন এলাকায় ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ, বিআরটিএ’র অনুমোদনবিহীন যানবাহন চলাচল ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) মেগা প্রকল্পের কার্যক্রম, পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনষ্ট হওয়া রোধ এবং যত্রতত্র যখন-তখন রাস্তা কর্তন বন্ধ। এ ছাড়া অন্যান্য বিষয়েও আলোচনার সুযোগ থাকবে।
সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এ প্রসঙ্গে বলেন, সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতার কারণে অনেক ক্ষেত্রে নাগরিক সেবা ব্যাহত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি অনুধাবন করে একটি পরিপত্র জারি করেছিলেন।
তিনি বলেন, এবারের সমন্বয় সভায় অংশগ্রহণের জন্য সব সেবা সংস্থাকে বলা হচ্ছে না। নির্দিষ্ট পাঁচটি এজেন্ডা নির্ধারণ করা হয়েছে। এজেন্ডা সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো নিয়েই সভা করা হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে মেয়র বলেন, সিডিএ নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। নালা পরিষ্কার করার সময় স্ল্যাব উল্টানো হচ্ছে। কিন্তু তা কাজ শেষে আর বসানো হচ্ছে না। অথচ অধিকাংশ নালার স্ল্যাব ফুটপাত হিসেবে ব্যবহার হয়। তাতে মানুষের হাঁটা–চলায় বিঘ্ন ঘটছে। আর জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলে তো এসব খোলা নালা মৃত্যুকূপে পরিণত হবে। তাই এসব বিষয়ে সিডিএর সঙ্গে আলোচনা হবে।
২০১৬ সালের ২৭ জুন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে একটি পরিপত্র জারি করে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সিটি মেয়রকে সমন্বয় করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ নির্দেশনা কেউ না মানলে বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে জানানোর জন্য বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৩ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৮
এআর/টিসি