চার দশক আগের নিয়মিত সংবাদকর্মী হলেও সমসাময়িক কালেও তিনি চট্টগ্রামের সংবাদ শিল্পে অপরিহার্য ছিলেন। দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকলেও মঈনুল আলম বিভিন্ন দৈনিকে নিয়মিত লিখে গেছেন।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠা ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের শুরুর দিকের যাত্রাপথে অনন্য ভূমিকা রেখেছিলেন মঈনুল আলম। প্রায় পাঁচ দশক দাপটের সঙ্গে লেখালেখি ও সাংবাদিকতায় যুক্ত ছিলেন তিনি।
পেশাগত কারণে মঈনুল আলম ঘুরেছেন দেশ-বিদেশে, লিখে গেছেন সাংবাদিকতায় নিজের অভিজ্ঞতার কথামালাও। সাংবাদিকতায় তৃণমূল থেকে আন্তর্জাতিক পরিসরে কাজ করেছেন তিনি। মঈনুল আলমই বাংলাদেশের একমাত্র সাংবাদিক যিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান ও সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতা মিখাইল গর্বাচেভের শীর্ষ বৈঠক কভার করেছেন। শিল্পবোধ সম্পন্ন এই সাংবাদিক ছিলেন সুবক্তাও।
মঈনুল আলম দেশের প্রাচীনতম দৈনিক ইত্তেফাকের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে।
মঈনুল আলমের প্রয়াণে গভীর শোক ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি কলিম সারোয়ার, সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি নাজিমুদ্দিন শ্যামল, সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস, সাবেক সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, মোস্তাক আহমদ, অঞ্জন কুমার সেন, বিএফইউজে চট্টগ্রাম বিভাগের সহ-সভাপতি শহীদুল আলম, যুগ্ম-মহাসচিব তপন চক্রবর্তী, নির্বাহী সদস্য আসিফ সিরাজ ও নওশের আলী খান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৩ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৮
এমজেএফ