সোমবার (১৮ জুন) বিকেলে পল্টন রোডে জানাজার আগে ছুরিকাঘাতে নিহত আবু জাফর অনিকের (২৬) বাবা এভাবে বিলাপ করছিলেন।
রোববার (১৭ জুন) রাতে চট্টেশ্বরী পল্টন রোডে গাড়ির হর্ন দেওয়াকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে খুন হন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মো. নাছির উদ্দিনের ছেলে আবু জাফর অনিক (২৬)।
মো. নাছির উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, মহিউদ্দীন তুষার, মিন্টুরা আমার ছেলেকে আমার সামনে ছুরি মেরে হত্যা করেছে।
সোমবার বিকেলে পল্টন রোডে আবু জাফর অনিকের জানাজা নামাজে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, উপদেষ্টা শফর আলী, নগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ, বাগমনিরাম ওয়ার্ড কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিনসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
এ সময় মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল অনিকের খুনিদের দ্রুত গ্রেফতারে পুলিশের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, খুনিরা যেই হোক না কেন তাদের কোনো ছাড় নয়। দলীয় পরিচয়ে কোনো খুনিকে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।
অনিকের প্রতিবেশী ও কোতোয়ালী থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসান মনসুর বাংলানিউজকে বলেন, মহিউদ্দীন তুষার, মিন্টু এরা স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তারা যুবলীগের নাম ভাঙিয়ে এলাকায় অপকর্ম করে যাচ্ছে।
অনিক হত্যার ঘটনায় সোমবার সকালে ১২ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় মামলা দায়ের করেন অনিকের বাবা মো. নাছির উদ্দিন। মামলার আসামিরা হলেন, মহিউদ্দীন তুষার (৩০), মিন্টু (৩২), ইমরান শাওন (২৬), ইমন (১৬), শোভন (২৪), রকি (২২), অপরাজিত (২২), অভি (২১), বাচা (২২), এখলাস (২২), দুর্জয় (২১) এবং অজয় (২১)।
এ ঘটনায় এখনো কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, আসামিরা এলাকা থেকে গা ঢাকা দিয়েছে। তাদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
জানা যায়, রোববার বিকেল ৫টার দিকে গাড়ির হর্ন দেওয়াকে কেন্দ্র করে আবু জাফর অনিকের ছোট ভাই আবু হেনা রনিকের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় কিছু যুবকের। পরে রাত ৮টার দিকে সেই সমস্যা সমাধানে গিয়েছিলেন বড় ভাই ও বাবা। সেখানে বাবার সামনে অনিককে ছুরিকাঘাত করে মহিউদ্দীন তু্ষার ও তার সহযোগীরা।
অনিক হত্যার ঘটনায় ১২ জনকে আসামি করে মামলা
হর্ন দেওয়াকে কেন্দ্র করে গাড়ি চালক খুন
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৮
এসকে/টিসি