রোববার (১৭ জুন) দুপুরে নগরের মেহেদীবাগস্থ নিজ বাসভবনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আত্মীয়স্বজন. বন্ধু-বান্ধব ও জনগণকে সাথে নিয়ে ঈদ পালন করা যে মানুষের অধিকার।
বিএনপি নেতাকর্মী যেখানে যায়, সেখানে জনতার ঢল নামছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের সবচেয়ে বড় ভয় বর্তমানে এটি। জেলে গণতন্ত্রের মা’কে বন্দি করে রেখেছে। বিএনপি নেতাদের ঘর থেকে বের হতে দিচ্ছে না, মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। গুম, খুন, হত্যার মাধ্যমে বাঁধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু এতে কোন লাভ হচ্ছে না। তাদের পরাজয় নিশ্চিত। তাণ্ডব নিয়ে ক্ষমতায় বেশি দিন থাকা যায় না। আগে বাকশাল করেও পারে নি। তাণ্ডব দিয়ে দলীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়ালে কখনো সফল হওয়া যায় না। ’
আমির খসরু বলেন, ‘বিএনপি নয় তারা জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। তাদের নির্ভরশীল এখন পুরোপুরি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের ওপর। তারা রাজনৈতিক দল হিসেবে ব্যবহার করছে না। জনগণেরও ওপর তাদের কোন নির্ভরশীলতা নেই। তাদের নির্ভরশীলতা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। এরই অংশ হিসেবে কাউকে ঘর থেকে বের হতে দেবে না, কাউকে গুম করবে, খুন করবে, কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেবে। এইটা বিশ্বের কোন দেশে টিকে নি, বাংলাদেশেও টিকবে না। এসব করে তাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু এরপরেও তারা কিছু শিখলো না। এইটা দুঃখের বিষয়। ’
রাজনৈতিকভাবে ভাবে তারা পরাজিত হতে দেখে এবং তারা একদলীয়ভাবে নির্বাচন করার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে বন্দি করে কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ‘এইটা বিচারিক সিদ্ধান্ত নয়, রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করা হবে। আইনের পেছনে দৌঁড়ে কোন লাভ হবে না। এইটি কোন আইনি বিষয় নয়। এটি দলীয়ভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার একটি প্রক্রিয়া। এইটি জনগণকে সাথে নিয়ে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে হবে। যেহেতু এইটি জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে অন্যায়ভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার একদলীয় প্রচেষ্টা। সুতরাং জনগণ তা প্রতিহত করবে। ’
ক্ষোভ প্রকাশ করে আমির খসরু বলেন, ‘ঈদ আমাদের জন্য নয়। এই যে দেখেন আমি আজ পুরনো কালো পাঞ্জাবি পড়েছি। খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে আমরা তো ঈদ উদযাপন করতে পারি না। এই দেশকে তারা বন্দি করে রেখেছে। বন্দিশালার মধ্যে ঈদ হয় না। নেতাকর্মীদের উৎসাহ যোগানোর জন্য শুভেচ্ছা বিনিময় করতে হচ্ছে। দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য, মালিকানা ফিরে পাওয়ার জন্য, বাকস্বাধীনতা ফিরে পাওয়ার জন্য বাংলাদেশের মানুষ অবতীর্ণ হয়েছে। জনগণকে সাথেই নিয়ে আন্দোলনে জয়ী হওয়ারও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৭
এসবি/টিসি