ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চিরচেনা বন্দরনগরী এখন ফাঁকা

সুবল বড়ুয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫০০ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৮
চিরচেনা বন্দরনগরী এখন ফাঁকা নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে স্বল্প সংখ্যক গাড়ি চলাচল করলেও অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ।। ছবি: উজ্জ্বল ধর

চট্টগ্রাম: ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে চিরচেনা সেই বন্দরনগরী এখন অনেকটাই ফাঁকা। নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে স্বল্প সংখ্যক গাড়ি চলাচল করলেও অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। যানবাহনের চাপ নেই, সেই যানজটের যন্ত্রণা, এ যেন কোলাহলমুক্ত বন্দরনগরী।

সোমবার (১৭ জুন) সকালে নগরের বহদ্দারহাট, চকবাজার, আন্দরকিল্লা, লালদীঘি, কোতোয়ালি, জিইসি, ২ নম্বর গেইট, মুরাদপুর, টাইগারপাস, আগ্রাবাদসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট ফাঁকা দেখা গেছে। ব্যক্তিগত যানবাহনের নগন্য।

পাশাপাশি গণপরিবহনের সংখ্যাও নেই বললেই চলে।

এদিকে, ঈদ বকশিশের অজুহাতে মৌসুমী রিকশা চালক ও সিএনজি অটোরিকশা চালকেরা নির্ধ‍ারিত ভাড়ার চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।

নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে স্বল্প সংখ্যক গাড়ি চলাচল করলেও অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ। ।  ছবি: উজ্জ্বল ধরসাইফুল নামে বহদ্দারহাট এলাকার এক বাসিন্দা বাংলানিউজকে জানান, ঈদের দিন নগরের জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে ঈদের জামাত পড়েছি। পরে বিকেলের দিকে গ্রামের বাড়ি আনোয়ারায় গিয়ে আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করে রাতেই শহরে চলে এসেছি। কেননা, আমাদের ভাড়া বাসাগুলো পুরোটাই ফাঁকা। সবাই ঈদ উপলক্ষে গ্রামের বাড়ি চলে গেছে। আমরা বাড়ির জমিদার হয়ে এখন অনেকটা পাহাড়াদার হিসেবে কাজ করছি।  

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ৬০ লাখ নগরবাসীর মধ্যে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষই নগর ছেড়েছেন। তবে নগরে রয়ে গেছেন আদি বাসিন্দারা। এছাড়াও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যাদের ছুটি মেলেনি কিংবা একান্ত ব্যক্তিগত ও পারিবারিক প্রয়োজনে যারা নাড়ির টানে যেতে পারেন নি; তারা আছেন।

আরেফিন নামে কোতোয়ালী এলাকার এক বাসিন্দা বাংলানিউজকে জানান, জন্মের পর থেকেই শহরে ঈদুল ফিতর উদযাপন করছি। শহরেই আমাদের বসবাস এবং বেড়ে ওঠা। বিশেষ করে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা আসলেই নগর পুরোটাই ফাঁকা হয়ে যায়। সড়কে আর কোন যানজট থাকে না। পুরোটাই কোলাহলমুক্ত হয়ে যায়।  

তবে বিভিন্ন সরকারি অফিস-আদালত ও বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিরাপত্তারক্ষীরা দায়িত্ব পালন করছেন। অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ থাকলেও নগরের কয়েকটি স্থানে ওষুধের ফার্মেসী খোলা থাকতে দেখা গেছে।

ঈদের ছুটি শেষে সবাই যখন আবারো নগরমূখী হবেন, তখন বন্দরনগরী আবারো প্রাণ ফিরে পাবে এবং মুখরিত হবে আবারো সেই চিরচেনা বন্দরনগরী।  

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৯ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৭

এসবি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।