নগরের কাজীরদেউরি শিশু পার্ক, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, ফয়’স লেক ও সী-ওয়ার্ল্ড, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, বহদ্দারহাটের স্বাধীনতা পার্ক, আগ্রাবাদের কর্ণফুলী শিশু পার্ক ও বিমানবন্দর রোডের বাটারফ্লাই পার্কে দর্শনার্থীর উপচেপড়া ভিড় চোখে পড়ার মতোই। এ যেন এক আনন্দনগরী।
এদিকে, ঈদুল ফিতুর উপলক্ষে নগরের বিনোদনকেন্দ্র ও পার্কগুলোতে নেওয়া হয়েছে ৫ দিন থেকে সপ্তাহব্যাপী বিশেষ আয়োজন।
পাথরঘাটা এলাকা থেকে ছেলেকে নিয়ে কাজিরদেউরি শিশু পার্কে আসা মাহমুদ নামে এক দর্শনার্থী বাংলানিউজকে জানান, ছেলের বায়না ছিল ঈদের দিন শিশু পার্কে গিয়ে রাইডসে চড়বে। দোলনা ও ঘোড়ায় চড়বে। তাই পার্কে এলাম। কিন্তু এখানে এসে দেখি দীর্ঘ লাইন। আধ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট নিয়ে পার্কে ঢুকলাম। ছেলের আনন্দই আমার আনন্দ।
শুধু মাহমুদ নয় এরূপ হাজারো দর্শনার্থী কাজিরদেউরি শিশু পার্কে এসে বিভিন্ন রাইডসে চড়ে বেড়াচ্ছেন। দর্শনার্থীদের ভিড়ে শিশুপার্কের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও ব্যস্ত সময় পাড় করছেন।
অন্যদিকে, ফয়’স লেকের চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় দেশের বিলুপ্ত প্রায় ৫১ প্রজাতির প্রাণী দেখতে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার চেহারা বদলে গেছে। বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে চিড়িয়াখানার উন্নয়নকাজ করা হয়েছে।
বাঘ-বাঘিনী, হরিণ, সিংহ-সিংহী, ঘোড়া, বানর, ভাল্লুক, জিরাপ, অজগর সাপ, বিভিন্ন প্রজাতির পাখির খাঁচায় দর্শনার্থীরা ভিড় করতে দেখা গেছে।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ বাংলানিউজকে জানান, ঈদ উপলক্ষে চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীর আনাগোনায় সরব ও উৎসবমূখর পরিবেশ বিরাজ করছে। সকাল থেকে শিশু থেকে বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ চিড়িয়াখানায় ভিড় করেছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৪ হাজারোধিক দর্শনার্থী চিড়িয়াখানায় এসেছে। ঈদের দ্বিতীয়দিন এ চাপ আরও বাড়বে। দর্শনার্থীরা চিড়িয়াখানার প্রায় সকল প্রজাতির প্রাণীগুলো ঘুরে ঘুরে দেখছে।
একইভাবে বহদ্দারহাটের স্বাধীনতা পার্কেও (মিনি বাংলাদেশ) দর্শনার্থীরা ভিড় করেছে। স্বাধীনতা পার্কের ভিতরে থাকা জাতীয় সংসদ ভবন, দরবার হল, কার্জন হল, সোনা মসজিদ, আহসান মঞ্জিল, হাইকোর্ট, লালবাগ কেল্লা, কান্তজির মন্দির, বড়কুঠি, ছোট কুঠি, পাহাড়পুর বিহার, সেন্ট নিকোলাস চার্চ, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, শহীদ মিনার, ট্রেনের নিচে ব্রিজ, ছয়টি কিউচ (বসার স্টল) ও চিরন্তন পল্লী দেখতে দর্শনার্থীর উপচেপড়া ভিড়।
একইভাবে প্রাকৃতিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার ও লীলানিকেতন ফয়’স লেক অ্যামিউজমেন্ট পার্ক ও সী-ওয়ার্ল্ডে দর্শনার্থীদের ভিড় ছিলো। ফয়’স লেকের ফ্যামিলি রোলার কোস্টার, সার্কাস সুইং, বাম্পার কার, কফিকাপ, ফেরিস হুইল, পাইরেট শিপ, রেড ড্রাই ইড, ইয়োলো ড্রাই দর্শনার্থীরা ভিড় করেছে। ফ্যামিলি পুল মাল্টি রাইড ও ডোম রাইড, ড্যান্সিং জোন, কৃত্রিম বৃষ্টি ও চিলড্রেন পুলে ও শিশুদের ভিড় ছিলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৯ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৭
এসবি/টিসি