ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দর্শনার্থীর অপেক্ষায় বিনোদন কেন্দ্র

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২০ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৮
দর্শনার্থীর অপেক্ষায় বিনোদন কেন্দ্র ফয়’স লেক

চট্টগ্রাম: ঈদ মানেই আনন্দ। এ আনন্দকে আরও প্রাণবন্ত করতে নগরের বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র ও পার্কগুলো প্রস্তুত রয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে বৈরী আবহাওয়া ও রমজানের কারণে মন্দাভাব কাটাতে পার্ক ও বিনোদন কেন্দ্রগুলো নতুনভাবে প্রস্তুত নিয়ে দর্শনার্থীর অপেক্ষায় রয়েছে।

ঈদ উপলক্ষে পাঁচ দিন থেকে সপ্তাহব্যাপী নেওয়া হয়েছে বিশেষ আয়োজন। কনসার্টের পাশাপাশি পার্কগুলো সাঁজানো হয়েছে বাহারী আলোকসজ্জ্বায়।

যদিও বৈরী আবহাওয়ার কারণে শনিবার (১৬ জুন) সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।   

নগরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলানিকেতন ফয়’স লেক ও সী-ওয়ার্ল্ড, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, বহদ্দারহাটের স্বাধীনতা পার্ক, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, আগ্রাবাদের কর্ণফুলী শিশু পার্ক, কাজীরদেউরি শিশু পার্ক ও বিমানবন্দর রোডের বাটারফ্লাই পার্ক দর্শনার্থীদের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

ফয়’স লেক: ফয়’স লেক অ্যামিউজমেন্ট পার্কের রাইডগুলোর মধ্যে দর্শনার্থীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে বাম্পার কার, ফ্যামিলি রোলার কোস্টার, সার্কাস সুইং, ফেরিস হুইল, পাইরেট শিপ, রেড ড্রাই ইড, কফিকাপ, ইয়োলো ড্রাই। এছাড়াও রয়েছে ওয়েভ পুল নামে কৃত্রিম সমুদ্র সৈকত। ফ্যামিলি পুল মাল্টি রাইড ও ডোম রাইড, ড্যান্সিং জোন, কৃত্রিম বৃষ্টি ও চিলড্রেন পুলে রয়েছে বাচ্ছাদের বিভিন্ন ধরণের রাইড। ফয়’স লেকের ভিতরে রেস্টুরেন্ট থেকে প্রাকৃতিক পরিবেশে বিভিন্ন দেশি-বিদেশি খাবার খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। পাহাড়ের ওপরে রয়েছে বিভিন্ন প্রাণির ভাস্কর্য। এছাড়াও দর্শনার্থীরা জলকেলিতে মেতে উঠতে পারবেন ফয়’স লেকে সী-ওয়ার্ল্ডে।

ঈদে প্রতিবারের মত ফয়’স লেক ও সী-ওয়ার্ল্ডে এবার বিশেষ আয়োজনের কথা জানিয়ে কনকর্ড এন্টারটেইনমেন্টের উপ-ব্যবস্থাপক (বিপনন) বিশ্বজিত ঘোষ বাংলানিউজকে জানান, ঈদের আনন্দকে নতুনমাত্রা আনতে এবারও ফয়’স লেক ও সী-ওয়ার্ল্ডে আনা হয়েছে নতুনত্ব। ঈদের দিন শনিবার দুপুরের পর থেকে থেকে পার্ক ও সী-ওয়ার্ল্ড খোলা হবে। ঈদের দ্বিতীয় দিন সকাল থেকে ফয়’স লেক ও সী-ওয়ার্ল্ডে খোলা হবে। ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকে ম্যাজিক শো, ডান্স, ডিজে, যাদু ও গেম শো’র আয়োজন করা হয়েছে। ফয়’স লেক ও সী-ওয়ার্ল্ডের বিভিন্ন স্পটে বাহারী আলোকসজ্জ্বায় প্রাণবন্ত রূপে সাজানো হয়েছে। বিভিন্ন প্যাকেজে ছোট ও বড়দের জন্য প্রবেশের জন্য টিকেটের মূল্য রাখা হয়েছে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত। প্রবেশের টিকেটের সাথে সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য রাইড ও খাবারের প্যাকেজ সুবিধা দেয়া হয়েছে।

বহদ্দারহাটের স্বাধীনতা পার্ক:  বহদ্দারহাটের স্বাধীনতা পার্কে (মিনি বাংলাদেশ) রয়েছে জাতীয় সংসদ ভবন, দরবার হল, আহসান মঞ্জিল, হাইকোর্ট, লালবাগ কেল্লা, কার্জন হল, সোনা মসজিদ, কান্তজির মন্দির, বড়কুঠি, ছোট কুঠি, পাহাড়পুর বিহার, সেন্ট নিকোলাস চার্চ, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, শহীদ মিনার, ট্রেনের নিচে ব্রিজ, ছয়টি কিউচ (বসার স্টল) ও চিরন্তন পল্লী। শিশুদের বিনোদনের জন্য রয়েছে ফ্যামিলি কোস্টার, প্যাডেল বোট, মিনি ট্রেন, পেডেল ট্রেন, বেবি ক্যাসেল, বেলুন হুইল, মনোরেল, মিউজিক সুইং, বাম্পার কার ও আরবি ট্রেন। আরও রয়েছে ২৫০ ফুট উচ্চতার ঘুর্ণায়মান রিভলবিং রেস্টুরেন্ট। দর্শনার্থীর কাছে পার্কটি মিনি বাংলাদেশ হিসেবেই সমধিক পরিচিত। পার্কটিতে দেশের প্রায় সকল ঐতিহ্য ও ঐতিহাসিক স্থাপনা তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন পার্ক কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। দর্শনার্থীরা ১০০ টাকার টিকেটের মাধ্যমে প্রবেশ করে যাতে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন।

এছাড়াও নগরের ফয়’স লেকস্থ চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় দেশের বিভিন্ন প্রজাতির বিলুপ্ত প্রায় সব প্রাণী দেখতে পারবেন। কাজিরদেউরি ও আগ্রবাদ শিশুপার্ক এবং বিমানবন্দর রোডের বাটারফ্লাই পার্কও দর্শনার্থীর জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৮

এসবি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।