বৃহস্পতিবার (১৪ জুন) দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি। যিনি ওই নবজাকতের বাবা।
শহিদুল আলম শাহীন লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত শুক্রবার (০৮ জুন) আমার স্ত্রীর প্রসব বেদনা শুরু হলে ওই হাসপাতালে ভর্তি করাই। সন্ধ্যা ৬টার দিকে ডা. হাছিনা এসে পর্যবেক্ষণ করে ডেলিভারি হতে আরও সময় লাগবে বলে জানান।
তিনি বলেন, পরে হাসপাতালের এমডি নাজিমকে কল করা হলে তার সাড়া মেলেনি। পরে ডা. হাছিনাকে কল করা হলে তার নাম্বারও বন্ধ পাই। পরে শনিবার (০৯ জুন) ভোরে আমার স্ত্রীকে লেবার রুমে নিয়ে যান। এক ঘণ্টা পর দায়িত্বরত ডাক্তাররা জানান, আমার বাচ্চা মৃত। কেন বাচ্চা মারা গেল জানতে চাইলে, তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। পরে জানতে পারি, আমার স্ত্রীকে সংকটাপন্ন রেখে ডা. জেবুন্নেছা কেয়া ঘুমিয়ে ছিলেন। নার্স দিয়ে আমার স্ত্রীর ডেলিভারি করান।
এ ঘটনায় জড়িত ডা. জেবুন্নেছা কেয়া, ডা. হাসিনা আক্তার ও আলিফ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান শহিদুল আলম শাহীন।
এক প্রশ্নের জবাবে শহিদুল আলম শাহীন বলেন, ঘটনার পরপরই হাটহাজারী থানায় অভিযোগ দিই। তারা তদন্ত করে ডাক্তার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলার বিষয়টি জানতে পেরেও আপস করে দিতে চাইছে।
এদিকে সংবাদ সম্মেলন করার আগে বেলা ১১টার দিকে প্রেস ক্লাবের সামনে এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে মানববন্ধন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট সায়েন্সেসের অধ্যাপক ড.মুহাম্মদ জসীম উদ্দিন, ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজের শিক্ষক ড. মোসলেম উদ্দিন মুন্না, সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক রিদোয়ান মোস্তফা, সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক শিপক কৃষ্ণ দেবনাথ, ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজের শিক্ষক এনামুল হক নীল, রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মো. বখতেয়ার উদ্দিন, ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজের শিক্ষক জুয়েল দাশ, সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক সৈয়দ উদ্দিন হায়দার, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক মারুফ উল আলম ও ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজের শিক্ষক ফয়েজ মুহাম্মদ তাইমুর।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, ১৪ জুন ২০১৮
জেইউ/টিসি