এবার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হলদিয়া, ডাবুয়া, চিকদাইর ইউনিয়ন ও রাউজান পৌরসভা। ভেসে গেছে পুকুর-দীঘির মাছ, হাঁস-মুরগি ও গবাদি পশু।
সোম ও মঙ্গলবার (১২ জুন) দুই দিন পানির নিচে ছিল চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়ক। চলেনি যান্ত্রিক গাড়ি, জরুরি প্রয়োজনে মানুষ রিকশাভ্যানেই চলাফেরা করেছেন বাধ্য হয়ে।
রাউজানের বন্যাদুর্গত এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমার জীবনে রাউজানে এত পানি দেখিনি। পুরো পৌরসভা একপ্রকার ডুবে গেছে। চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়ক দুই দিন বন্ধ ছিল। ৫০ হাজার মানুষ গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে। প্রাথমিকভাবে সরকারি ২০ টন চাল এবং বেসরকারিভাবে সাড়ে ৭ লাখ টাকা বন্যাদুর্গতদের সহায়তা করেছি আমরা।
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে চাইলে সংসদ সদস্য বলেন, মাছচাষ, চাষাবাদ, পোলট্রি, গবাদিপশু সব শেষ। আমি একজনকে জানি যার ৮০ লাখ টাকার মাছ বানের পানিতে ভেসে গেছে। রাস্তাঘাট, সেতুসহ অবকাঠামোগত ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে সময় লাগবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সরেজমিন পরিদর্শনের সময় আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), পানি উন্নয়ন বোর্ড, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের নিয়ে গেছি। মূল সমস্যা হচ্ছে রাউজানের সঙ্গে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটির ৪০ কিলোমিটার সীমানা রয়েছে। ওই সীমানার হালদা, সত্তা, ডাবুয়া খাল দিয়ে পাহাড়ি ঢলের সব পানি নেমে আসে। এ সময় দুই কূল ছাপিয়ে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়ক এবং আশপাশের এলাকা প্লাবিত করে ব্যাপক ক্ষতি করছে। তাই স্থায়ী সমাধানের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা চলছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম হোসেন বাংলানিউজকে জানান, মানবিক কারণে ২৪টি আশ্রয়কেন্দ্র ও একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে রাউজানে। সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেফায়েত উল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, ঢলের পানি নামতে শুরু করেছে। আশাকরি, ঢল ও বৃষ্টি কমে এলে বুধবার (১৩ জুন) থেকে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কে যাত্রীবাহী গাড়ি চলাচল করবে।
এত পানি আগে দেখেনি ফটিকছড়ির মানুষ!
বাংলাদেশ সময়: ২২৪১ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৮
এআর/টিসি