ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাকলিয়া সরকারি স্কুলমাঠে মাছ ধরছে মানুষ!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৫০ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৮
বাকলিয়া সরকারি স্কুলমাঠে মাছ ধরছে মানুষ! নগরের বাকলিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মাছ ধরছে মানুষ। ছবি: সোহেল সরওয়ার, বাংলানিউজ

বাকলিয়া থেকে: বাকলিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। দ্বিতীয় তলা বিশিষ্ট এ বিদ্যালয়টির পানিতে ডুবে গেছে নিচতলা। তিনদিন ধরে তাই ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ। সামনে রয়েছে বিশাল মাঠ। তাও পানিতে ডুবে পরিণত হয়েছে ছোট খালে!

সোমবার (১২ জুন) সকাল ৯টা। মাঠজুড়ে জাল নিয়ে মাছ ধরছেন কেউ কেউ।

মাছও পাচ্ছেন সমানতালে। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে এ বিদ্যালয়টির মতো পুরো বাকলিয়া এলাকা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাকলিয়ার বড় মিয়া মসজিদ, কালামিয়া বাজার, সৈয়দ শাহ রোড ও ডিসি রোডের বাসিন্দারা পার করছেন সীমাহীন দুর্ভোগে। নিচতলা ডুবে যাওয়ায় টেবিল ও খাটের ওপর বসে নির্ঘুম দিন রাত পার করছেন।

নগরের বাকলিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মাছ পাচ্ছে মানুষ।  ছবি: সোহেল সরওয়ারবড় মিয়া মসজিদের পুকুর পাড়ের বাসিন্দা জানে অালম। টিনশেডের বাসাটি তার ডুবে অাছে তিন দিন। টেবিলের ওপর ঘরের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রেখে হাঁটু গেড়ে বসে অাছেন।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, মিডিয়ায় শুধু নগরে জলাবদ্ধতা নিরসনে হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ হয় দেখি। কিন্তু কাজের কাজ কোথায়? অামার মনে হয় না, যারা দায়িত্ব পান কাজ করার তারা টাকাগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করেন। অামাদের দুঃখ তারা কিভাবে বুঝবে? তারাতো তাদের বিশাল বাসায় ঘুমিয়ে দেখেও না দেখার ভান করে বসে অাছে।

বাকলিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে টেঁটা দিয়ে বড় মাছ শিকার করছেন এক বৃদ্ধ।   ছবি: সোহেল সরওয়ারবাকলিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে মাছ ধরতে অাসা পাশের বাসিন্দা জসিম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, বিদ্যালয়ের পাশের খালের পানির সঙ্গে বিদ্যালয়ে জমে থাকা পানি সমান হয়ে গেছে। এছাড়া পাশের কয়েকটি পুকুর ডুবে মাছগুলো বিদ্যালয়ের মাঠে চলে এসেছে তাই জাল নিয়ে মাছ ধরতে এসেছি। মাছও পেলাম বেশ।

ডিসি রোডের খালের পাড়ে রয়েছে শতাধিক বস্তি এলাকা। পানিতে বন্দি তারা তিন দিন। কেউ কেউ গার্মেন্টসে কাজ করলেও পানির জন্য কাজে যেতে পারছেন না।

কুলসুম অারা বেগম। কাজ করেন অাগ্রাবাদের একটি গার্মেন্টসে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, তিন দিন ধরে পানিতে বন্দি থাকায় কাজে যেতে পারছি না। চুলায় রান্নাও করতে পারছি না। অনেক কষ্টে দোকান থেকে মুড়ি ও কলা নিয়ে এসে সেহরি খেয়ে রোজা রাখছি।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪০ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৮
জেইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।