সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ফটিকছড়ি-মাইজভাণ্ডার সড়কটি সম্প্রসারণের একটি প্রকল্প হাতে নেয় সওজ। প্রকল্পের অধীনে সড়ক সম্প্রসারণ ছাড়াও ১টি বক্স কালভার্ট, ৪টি বড় আকৃতির সেতু, ঝুঁকিপূর্ণস্থানে গার্ডওয়াল নির্মাণ এবং প্রয়োজনীয় ড্রেনেজ ব্যবস্থা নির্মাণের ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ পায় মো. মহসিনের মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠান।
অভিযোগ আছে, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়ক সম্প্রসারণের কাজ করায় প্রকল্পের মেয়াদ শেষ না হওয়ার আগেই সড়কটিতে ধস দেখা দিয়েছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নির্মিত এ সকড়টিতে ধসের সৃষ্টি হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মো. মহসিন বাংলানিউজকে বলেন, ব্রিজের পাশে যেখানে ধসের সৃষ্টি হয়েছে সেখানে সাইডওয়াল নেই। তাই পানিতে প্লাবিত হয়ে ব্রিজের পাশে কয়েকটি ফাটল দেখা দিয়েছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ব্রিজের সাইডওয়াল নির্মাণের বিষয়টি কার্যাদেশে ছিল না। নকশাতেও নেই। নির্মাণকাজ শেষের দুই বছরের মধ্যে যেহেতু সড়ক সংস্কারের নিয়ম আছে, সড়কটি আমরা সংস্কার করে দেবো।
সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জুলফিকার আহম্মদ বাংলানিউজকে বলেন, ধসের বিষয়টি ‘বাড়িয়ে’ বলছে কিছু লোক। বিষয়টি এত গুরুতর নয়। ভারী বর্ষণের কারণে ব্রিজের কাছে পানির প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় সড়কটি একটু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, যেহেতু প্রকল্পের কাজ এখনো শেষ হয়নি তাই আমরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সড়কটি সংস্কারের জন্য নির্দেশনা দেব। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৮
এমআর/টিসি