ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রাম নগরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, সীমাহীন দুর্ভোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৩০ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৮
চট্টগ্রাম নগরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, সীমাহীন দুর্ভোগ আগ্রাবাদের সিডিএ আবাসিক এলাকায় জলাবদ্ধতা। ছবি: উজ্জ্বল ধর

চট্টগ্রাম: সাগরে অবস্থানরত লঘুচাপের ফলে রাতভর ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নগরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রবর্তক মোড়, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, চকবাজার, ২ নম্বর গেট, হালিশহরসহ প্রায় এলাকা মধ্যরাতে পানিতে তলিয়ে ছিল।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, লঘুচাপটি মৌসুমি স্থল নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় তার প্রভাবে চট্টগ্রাম জুড়ে বিরামহীনভাবে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। নিম্নচাপটি রোববার ভোর রাতে সীতাকুন্ড উপকূল দিয়ে বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করেছে।

তবে সমুদ্রবন্দরগুলোতে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রাখতে বলা হয়েছে।

পূর্বাভাস কর্মকর্তা আফজাল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩৯ দশমিক ৮ মিলিলিটার বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে।

রোববার (১০ জুন) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ৪৮ ও রাত ১২টা থেকে সোমববার (১১ জুন) সকাল ৯টা পর্যন্ত ১৬০ মিলিলিটার বৃষ্টি হয়েছে। সোমবারও সারাদিন ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে।  

আগ্রাবাদ সিডিএ কলোনিতে জলাবদ্ধতা: ছবি: উজ্জ্বল ধরএদিকে রোববারের ভারী বৃষ্টিপাতে নগরের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। সন্ধ্যার পর বৃষ্টির চাপ আরও বেড়ে যাওয়ায় নগরের নিম্নাঞ্চল হাঁটু থেকে কোমর সমান পানির নিচে তলিয়ে যায়। এতে দুর্ভোগ ও বিড়ম্বনায় পড়তে হয় ঈদের বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতাদের। বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার কারণে তীব্র যানজটেরও সৃষ্টি হয়।

নগরের চকবাজার কাঁচা বাজারের দোকানি জসিম উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, ভারী বর্ষণে পুরো চকবাজার এলাকা ডুবে যায়। সন্ধ্যার দিকে হাঁটু সমান পানি হলেও রাত ৮টার পর কোমর পরিমাণ পানি জমে যায়।

বিরামহীন বৃষ্টিতে বাকলিয়া, আগ্রাবাদ, হালিশহর এলাকায় বেশিরভাগ বাসার নিচ তলা তলিয়ে যায়। ফলে এসব এলাকার বাসিন্দাদেরকে নিদারুণ দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।

জোয়ার ও বৃষ্টির পানিতে বাদুরতলা এলাকায় জলাবদ্ধতা: ছবি: বাংলানিউজবাদুরতলা এলাকার গৃহিনী রুনা আকতার বাংলানিউজকে বলেন, নিচ তলার খাট পর্যন্ত পানি ওঠে গেছে। কাপড়সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আলমারির উপরে রাখতে হয়েছে। রাতভর বসে ছিলাম, ঘুমাতে পারিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৮ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৮
জেইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।