ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভারী বর্ষণের সঙ্গে পাহাড় ধসের আশঙ্কা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৩ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৮
ভারী বর্ষণের সঙ্গে পাহাড় ধসের আশঙ্কা নগরের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন হাজারো মানুষ।  

চট্টগ্রাম: উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে মৌসুমে নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। নিম্নচাপটি আরও উত্তর, উত্তর-পূর্ব দিক থেকে অগ্রসর হয়ে রোববার (১০ জুন) দিনগত মধ্যরাতের দিকে সীতাকুণ্ডের ওপর দিয়ে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রেখেছে আবহাওয়া অধিদফতর। পাশাপাশি ভারী বর্ষণের সাথে চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ধসের আশঙ্কা করছে সংস্থাটি।

নিম্নচাপের প্রভাবে রোববার (১০ জুন) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে নগরের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।

এতে দুর্ভোগে পড়েছেন হাজারো মানুষ।  

আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, মৌসুমী নিম্নচাপটি বর্তমানে সন্দ্বীপ ও তসংলগ্ন উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারে মধ্যে বাতাসের একটানা সর্ব্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার দমকা বা ঝড়ো হাওয়া আকারে ৫০ কিলোমিটার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর প্রভাবে সাগর মাঝারি ধরনের উত্তাল রয়েছে।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ডিউটি অফিসার মাহমুদুল আলম বাংলানিউজকে জানান, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপটি মৌসুমী নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে সারাদিন থেমে থেমে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। রোববার রাত ৯টা থেকে পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ৯৫ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপ পার্থক্যে আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। এসব এলাকায় ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর সমূহকে ৩ নম্বর সতর্কতা স্থানীয় সর্তকতা সংকেত বহাল রাখা হয়েছে। ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রামে বিভাগে পাহাড়ধসের আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

আবহাওয়ার সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, মৌসুমী নিম্নচাপের কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার সমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

এদিকে, ভারীবর্ষণের কারণে পাহাড়ধসে দুর্ঘটনা ঠেকাতে জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় রোববার নগরের বাটালি হিল, মিয়ার পাহাড়. একে খান ও আমিনজুট মিল এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাব্বির রহমান সানি বাংলানিউজকে বলেন, জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় মাইকিং করে নগরের ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় ও পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরতদের সরে যেতে বলা হয়েছে। যেহেতু ভারী বর্ষণ হচ্ছে, সেহেতু পাহাড়ধসের আশঙ্কা রয়েছে। যেকোন দুর্ঘটনা ঠেকাতে আগাম প্রস্তুতি হিসেবে তাদের নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। ’

বাংলাদেশ সময়: ২২৫৩ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৮
এসবি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad