ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

২৯ লাখ টাকার জন্য খুন হন সেই ব্যাংক কর্মকর্তা 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৩ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৮
২৯ লাখ টাকার জন্য খুন হন সেই ব্যাংক কর্মকর্তা  ব্যাংকার সজল নন্দী খুনের ঘটনায় গ্রেফতার তিন কিশোর।

চট্টগ্রাম: নগরের বন্দর থানা এলাকায় ব্যাংক কর্মকর্তা সজল নন্দীর বাসায় ২৯ লাখ টাকা লুটের জন্য গিয়ে তাকে বাসার ভেতর জবাই করে খুন করে তিন কিশোর।

তিন কিশোরকে গ্রেফতারের পর এমন তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কর্মকর্তারা।

বুধবার (৩০ মে) দিবাগত রাতে নগরের ইপিজেড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।

তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বন্দর থানার মাইলের মাথা এলাকার শামসুল হকের পুকুর থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করেছেন পিবিআই কর্মকর্তারা।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার সিরাজউদ্দীনপুর এলাকার ডা. উজ্জ্বল চন্দ্র মজুমদারের ছেলে প্রতীক মজুমদার (১৬), চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি নানুপুর এলাকার তপন রায় চৌধুরীর ছেলে জিকু রায় চৌধুরী (১৬) এবং পটিয়ার ভাটিখাইন এলাকার অজিত বড়ুয়া চৌধুরীর ছেলে জয় বড়ুয়া চৌধুরী (১৯)।

গ্রেফতারকৃতরা ইপিজেড ও বন্দর এলাকায় বসবাস করেন।

পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মঈন উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ব্যাংক কর্মকর্তা সজল নন্দীকে হত্যার ঘটনায় প্রতীক মজুমদার, জিকু রায় চৌধুরী এবং জয় বড়ুয়া চৌধুরী নামে তিন কিশোরকে গ্রেফতার করেছি। তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক পিবিআই কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, সজল নন্দীর ছেলে সৈকত নন্দীর বন্ধু প্রতীক মজুমদার। সৈকতের কাছ থেকে প্রতীক জানতে পারে সজল নন্দী ব্যাংক থেকে ২৯ লাখ টাকা লোন পেয়েছেন। পরে প্রতীক তার দুই বন্ধুকে নিয়ে সেই টাকা লুট করার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা নতুন ছুরিও কেনে। ২৭ মে সকাল সাড়ে ৮টার পর তারা তিনজন পুরনো সাইকেল কেনার কথা বলে সজল নন্দীর বাসায় ঢোকে। পরে সজল নন্দীকে আটকে রেখে বাসায় খুঁজেও ২৯ লাখ টাকা না পেয়ে হতাশ হয় তিনজন। একপর্যায়ে তারা সজল নন্দীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে।

পিবিআইর পুলিশ পরিদর্শক সদীপ কুমার দাশ বাংলানিউজকে বলেন, প্রতীক মজুমদার টাকা লুট করার মূল পরিকল্পনাকারী বলে জানতে পেরেছি।  ২৯ লাখ টাকা দিয়ে তারা কী করার পরিকল্পনা করেছিল তা জানতে চেষ্টা করছি। তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

সদীপ কুমার দাশ বলেন, সজল নন্দী তার নামে ব্যাংক থেকে ২৯ লাখ টাকা লোন পাস করান। তবে সেই টাকা ব্যাংক থেকে তোলেননি।

তিনি বলেন, সজল নন্দী ব্যাংক থেকে ২৯ লাখ টাকা লোন পাওয়ার তথ্যটি সজলের ছেলে সৈকত নন্দী প্রতীককে জানিয়েছিল। প্রতীক তার দুই বন্ধুকে নিয়ে সেই টাকা লুট করার পরিকল্পনা করে। এরপর সেখানে হত্যাকাণ্ড ঘটায়। তবে সৈকত নন্দী বিষয়টি জানত না।

রোববার (২৭ মে) সকালে নগরের বন্দর থানার মধ্যম হালিশহর এলাকার বাসা থেকে ব্যাংক কর্মকর্তা সজল নন্দীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সজল নন্দী নগরের সল্টগোলা এলাকায় রূপালী ব্যাংকে ক্যাশিয়ার পদে কর্মরত ছিলেন। সজল নন্দী বোয়ালখালী উপজেলার জ্যৈষ্ঠপুরা নন্দীপাড়া গ্রামের সাধন নন্দীর ছেলে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৮
এসকে/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।