মঙ্গলবার (২৯ মে) সেন্ট্রাল প্লাজা ঘুরে দেখা গেছে, ঈদে পছন্দের পোশাক কিনতে নিচতলার বিভিন্ন থানকাপড় এবং থ্রিপিসের দোকানে ভিড় করেছেন তরুণীরা। কেউ কেউ থান কাপড় কিনে পছন্দসই ডিজাইনে পোশাক বানাতে ভিড় জমাচ্ছেন তৃতীয় তলার টেইলার্সে।
দোতলার শিশুদের পোশাক এবং জুয়েলারির দোকানগুলোতে ভিড় কম থাকলেও জুতা-স্যান্ডেলের দোকানে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।
সেন্ট্রাল প্লাজার বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা গেছে, থানকাপড় এবং থ্রিপিসের দোকানগুলোতে ভারতের দিল্লি বুটিকস কাপড় ৪ হাজার থেকে শুরু করে ৯ হাজার টাকায়, সেরাত গাউন কাপড় ৬ হাজার থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকায়, বোম্বাই ফ্যাশেনেবল কটন ৪ হাজার থেকে শুরু করে সাড়ে ৪ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে পাকিস্তানের সানা সাফিনা ব্র্যান্ডের কাপড় ৯ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকায়, গোল আহমেদ কাপড় সাড়ে ৬ হাজার থেকে ৯ হাজার টাকায়, মারিয়াবি কাপড় সাড়ে ৬ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকায় এবং ওয়েজডেন কাপড় ৪ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বুটিকসের থ্রিপিস দেড় হাজার থেকে শুরু করে আড়াই হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে গঙ্গা ও বর্ষা কাপড়ে তরুণীদের আগ্রহ বেশি দেখা গেছে। ঈদে গরম এবং বৃষ্টির মৌসুম থাকার কারণেই সুতোয় বোনা এ কাপড় দুইটিতে ক্রেতাদের বেশি আগ্রহ বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
ওড়নার দোকানগুলোতে ইন্ডিয়ান চুংড়ি ২৫০ থেকে ৭০০ টাকায়, কাতান ৩০০ থেকে দেড় হাজার টাকায়, ফুলকারি ১ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকায় এবং হিজাব দেড়শ’ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানান সাজ বধূয়া ওড়না হাউসের মালিক এটিএম ইউসুফ।
সেন্ট্রাল প্লাজায় বাচ্চাদের দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পোশাকের দাম রাখা হচ্ছে ১ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। হরেক রকম ডিজাইনের স্যান্ডেল মিলছে দেড়শ’ থেকে দেড় হাজার টাকায়।
একাধিক কোম্পানির প্রসাধন সামগ্রী মিলছে ১০০ থেকে ২ হাজার টাকার মধ্যে। এ ছাড়াও নিত্য নতুন ডিজাইনের হাতব্যাগ, জুয়েলারি সামগ্রী, পার্সসহ মেয়েদের বিভিন্ন ব্যবহার্য জিনিসও মিলছে সেন্ট্রাল প্লাজায়। তবে গত বছরের চেয়ে এবছর এখনো বিকিকিনি কম বলে জানিয়েছেন সেন্ট্রাল প্লাজার বিক্রেতারা।
থ্রিপিসের দোকান ‘সুন্দরী’র মালিক দিদারুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এ বছর বিক্রি কিছুটা কম। গত বছর রমজানে প্রতিদিন ৭০-৮০ হাজার টাকা বিক্রি হলেও এখন তা ৪০-৫০ হাজার টাকায় নেমে এসেছে। ’
সেন্ট্রাল প্লাজায় পছন্দের কাপড় মিললেও দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক ক্রেতা। নগরের খুলশী এলাকার বাসিন্দা বিলকিছ আক্তার শিমু বাংলানিউজকে বলেন, ‘মেয়ে এবং নিজের জন্য ঈদের কাপড় নিতে এসেছি। পছন্দসই কাপড় মিললেও দাম বেশিই রাখছেন বিক্রেতারা। ’
তবে দাম বেশি রাখার বিষয়টি অস্বীকার করে ‘হীরামন’র মালিক গিয়াস উদ্দীন হিরণ বাংলানিউজকে বলেন, নগরের অন্যান্য বিপণিকেন্দ্র থেকে আমাদের এখানে দাম তুলনামূলক কম। বাইরের ব্র্যান্ডের কাপড়গুলো আমরা সরাসরি আমদানি করি বলে ক্রেতাদের কাছে অন্যদের তুলনায় সাশ্রয়ী দামে বিক্রি করতে পারছি। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৮
এমআর/টিসি