অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব মো. হেলাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত অর্থ ছাড় পত্রের মাধ্যমে বিষয়টি জানা গেছে।
‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আওতাধীন বন্যা ও জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাসমূহের উন্নয়ন এবং নালা, প্রতিরোধ দেয়াল, ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণ/পুনঃনির্মাণ‘ শীর্ষক প্রকল্পের জন্য ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের সংশোধিত উন্নয়ন বাজেট বরাদ্দ হতে জিওবি খাতে চতুর্থ কিস্তির ৮৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা ছাড়ের জন্য শনিবার (২৬ মে) স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
জানা যায়, এ প্রকল্পের অধীনে ছাড়কৃত চতুর্থ কিস্তির অর্থ পেতে হলে চসিককে ৫টা শর্ত পূরণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পঞ্চম শর্তটি নতুন হলেও পূর্বেও চারটি শর্ত দেওয়া হয়েছিলো।
সর্বশেষ পঞ্চম শর্তে উল্লেখ করা হয়েছে, নিজস্ব অর্থায়নের অংশ যথাযথভাবে ছাড়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং অর্থ বিভাগকে অবহিত করতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বাংলানিউজকে বলেন, অর্থবছর শেষের দিকে বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ ছাড় দেওয়া হয়। সেই হিসেবে চসিকের আওতাধীন বন্যা ও জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাসমূহের উন্নয়ন এবং নালা, প্রতিরোধ দেয়াল, ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণ/পুনঃনির্মার্ণের জন্য চতুর্থ কিস্তিতে এবার সাড়ে ৮৭ কোটি টাকা ছাড় দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এতে কিছু শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, নগেরে ‘চসিকের আওতাধীন বন্যা ও জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাসমূহের উন্নয়ন এবং নালা, প্রতিরোধ দেয়াল, ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণ/পুনঃনির্মার্ণ’ প্রকল্পের অধীনে অনেকগুলো উপ প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। দাবি করে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিলেই আমরা বরাদ্দকৃত অর্থ পেয়ে যাবো। ’
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর ৭১৬ কোটি ২৮ লাখ টাকায় ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আওতাধীন বন্যা ও জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাসমূহের উন্নয়ন এবং নালা, প্রতিরোধ দেয়াল, ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণ/পুনঃনির্মাণ‘ শীর্ষক প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন দেয়। প্রকল্পটির মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০১৬ নভেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
এ প্রকল্পের বিপরীতে গত দুই অর্থ বছরে ছাড় দেয়া হয়েছে ১১২ কোটি ৮৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তবে সংশোধিত এডিপিতে চলতি অর্থ বছরে এ প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৫০ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ২২২০ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৮
এসবি/টিসি