ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভারতের ভিসা জটিলতা নিরসনের আশ্বাস

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩১ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৮
ভারতের ভিসা জটিলতা নিরসনের আশ্বাস বক্তব্য দেন চট্টগ্রামে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী।

চট্টগ্রাম: বাংলাদেশ থেকে ভারত গমনেচ্ছুদের ভিসা জটিলতা নিরসনের আশ্বাস দিয়েছেন চট্টগ্রামে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী।

রোববার (২৭ মে) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের পিএইচপি ভিআইপি লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ আশ্বাস দেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে ৯৫ শতাংশ লোক দুই দিনের মধ্যে ভিসা পেয়ে থাকেন।

২০১৪ সালে ৭ লাখ লোক ভিসা পেলেও বছরখানেক পর তা বেড়ে ১৫ লাখ হয়েছে। আগামী কয়েকমাসের মধ্যে বছরে ভিসা প্রাপ্ত ব্যক্তির সংখ্যা ২০ লাখে দাঁড়াবে।
আগে সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা দেওয়া হলেও এখন দেওয়া হয় মাল্টিপল ভিসা।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি কলিম সরওয়ারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশের সঞ্চালনায় সভায় অনিন্দ্য ব্যানার্জী ভারত-বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে পারস্পরিক উন্নয়নে উভয় দেশের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে জানান।

অনিন্দ্য ব্যানার্জী বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ের অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো উল্লেখ করে বলেন, এ উন্নতিতে ভারত খুশি। খাদ্য, কৃষি, মৎস্যসহ বিভিন্ন খাতে অগ্রগতি হয়েছে বেশি। গত ১২ বছরে বাংলাদেশের পার ক্যাপিটাল ইনকাম তিন গুণ বেড়েছে। এ অগ্রগতিতে ভারত খুশি এবং প্রতিবেশী হিসেবে ভারত বাংলাদেশের উন্নয়নে সহযোগিতা দিতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।

তিনি তার বক্তব্যে ১৯৯১ সালে জুনিয়র অফিসার হিসেবে বাংলাদেশে অতীতে কাজ করার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। ওই সময়ে বন্দরনগরী চট্টগ্রামকে দেখে তিনি মুগ্ধ হবার কথা উল্লেখ করে বলেন, এবারে এসে চট্টগ্রামের পরিবর্তিত রূপ চোখে পড়েছে।

অনিন্দ্য ব্যানার্জী বলেন, বাংলাদেশ থেকে বেশিরভাগ লোক মেডিকেল ও অ্যাটেনডেন্স ভিসা নিয়ে ভারত যায়। ভারতে মেডিকেল ফ্যাসিলিটি বেড়েছে। ভারতের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে অন্য দেশে না গেলেও ডাক্তারি পড়তে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে যায় বলে উল্লেখ করেন তিনি।

একটি দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সাংবাদিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এজন্য সাংবাদিকদের আমরা গুরুত্ব দিয়ে থাকি। তাদের যাতে ইমিগ্রেশন বা ভিসা পাবার ক্ষেত্রে হয়রানি করা না হয় তা আমরা দেখব।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি কলিম সরওয়ার স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতার কথা স্মরণ করে বলেন, প্রতিবেশী বৃহত্তম দেশ হিসেবে ভারত বাংলাদেশকে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা দিয়ে আসছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে। ভারতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চট্টগ্রামসহ সারাদেশের সাংবাদিকদের উচ্চশিক্ষাসহ অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ করে দেওয়ার অনুরোধ জানান। এর মধ্য দিয়ে পারস্পরিক আদান-প্রদান বাড়বে।

সভায় বক্তব্য দেন প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী আবুল মনসুর, চট্টগ্রাম সাংবাদিক হাউজিং কো-অপারেটিভ সোসাইটির চেয়ারম্যান স্বপন কুমার মল্লিক, কবি বিশ্বজিৎ চৌধুরী ও ওমর কায়সার, দৈনিক আজাদীর বার্তা সম্পাদক কেএম জহুরুল ইসলাম, প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক ইকবাল, এনটিভির ব্যুরো প্রধান শামসুল হক হায়দরী, মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক পংকজ কুমার দস্তিদার, বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব তপন চক্রবর্তী, সদস্য আসিফ সিরাজ, একুশে টেলিভিশনের আবাসিক প্রধান রফিকুল বাহার, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক জসিম চৌধুরী সবুজ ও কালের কণ্ঠের ব্যুরো প্রধান মুস্তফা নঈম।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি মনজুর কাদের মনজু, যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, অর্থ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার, ক্রীড়া সম্পাদক নজরুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মিন্টু চৌধুরী, কার্যকরী সদস্য ম. শামসুল ইসলাম, স্থায়ী সদস্য নির্মল চন্দ্র দাশ, দেবপ্রসাদ দাস দেবু  প্রমুখ।

ক্লাবের সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক রোকসারুল ইসলাম, স্থায়ী সদস্য মোরশেদ আলম, নুর উদ্দিন আহমদ, তমাল চৌধুরী, সুভাষ কারণ, যীশু রায় চৌধুরী, প্রদীপ নন্দী, হামিদ উল্লাহ, রাজেশ চক্রবর্তী, নিপুল কুমার দে, প্রণব বল, মাখন লাল সরকার, মিয়া মো. আরিফ, অস্থায়ী সদস্য সোহেল সরওয়ার, ফরিদ উদ্দিন এবং ভারতের সহকারী হাই কমিশনের কর্মকর্তা রাশু রক্ষিত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৮
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।