খবর পেয়ে ততক্ষণাৎ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী তাকে দেখতে যান।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭২ বছর।
সাবেক হুইপ সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে হাটহাজারীসহ পুরো বিএনপি পরিবারে। যুবদলের প্রতিষ্ঠাতা সহ সভাপতি হিসেবে বিএনপির রাজনীতিতে হাতেখড়ি সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের। পরে বিএনপি থেকে হয়েছেন হাটহাজারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।
১৯৯১ সালে প্রথম ধানের শীষে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ১৯৯৬, ২০০১ সালে সংসদ সদস্যসহ মোট ৪ বার নির্বাচিত হন। ২০০১-০৬ সাল পর্যন্ত জাতীয় সংসদের হুইপের দায়িত্ব পালন করেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনসহ নগর বিএনপির আহবায়কও ছিলেন তিনি।
সর্বশেষ বিএনপির কাউন্সিলে তাকে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মনোনিত করা হয়।
জানা যায়, সোমবার(২৮ মে) বিএনপি কার্যালয়ের সামনে প্রথম জানাজা, পরে চট্টগ্রামে এবং হাটহাজারীতে জানাজা শেষে হাটহাজারীস্থ লালিয়ারহাট এলাকায় তাকে দাফন করা হবে।
সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের মৃত্যুতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্যমণ্ডলী, নির্বাহী কমিটির সদস্যরা, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান এম মোরশেদ খান, আবদুল্লাহ আল নোমান, গিয়াস উদ্দিন কাদের, মীর মো. নাছির উদ্দিন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রোজী কবির, গোলাম আকবর খোন্দকার, এস এম ফজলুল হক, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি এম এ হালিম, চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিন, ইউনুস চৌধুরী প্রমুখ পৃথক বিবৃতিতে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকার্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের নামাজে জানাজা ২৮ মে বাদ আসর জমিয়তুল ফালাহ ময়দানে, ২৯ মে হাটহাজারী সদরে সকাল ১১টায় লালিয়ারহাট প্রাইমারি স্কুলে দুপুর ২ টায় অনুষ্ঠিত হবে। এরপর লালিয়ার হাট কবরস্হানে তাকে দাফন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৮
জেইউ/টিসি