ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বন্দর নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের ক্রসফায়ারে দেওয়ার আহ্বান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৬ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৮
বন্দর নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের ক্রসফায়ারে দেওয়ার আহ্বান বক্তব্য দেন নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন

চট্টগ্রাম: ইয়াবা ও মাদক ব্যবসায়ীদের মতো যারা বন্দর নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে, অনৈতিক কর্মকাণ্ডে পৃষ্ঠপোষকতা করছে সে সব মাফিয়াকেও ক্রসফায়ারে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

রোববার (২৭ মে) রোববার ডক বন্দর জাতীয় শ্রমিক লীগ আঞ্চলিক কমিটির আওতাভুক্ত সংগঠনগুলোর উদ্যোগে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ আহ্বান জানান।  

জাতীয় শ্রমিক লীগ ডক বন্দর অঞ্চলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. ইলিয়াছের সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম পোর্ট এজেন্টস স্টিভিডোরস অ্যান্ড কন্ট্রাক্টরস এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সুজন বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরই হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণ।

বন্দর বাদ দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি চিন্তার কোনো সুযোগ নেই অথচ কিছু অর্থলোভী মানুষ নিজের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য বিভিন্নভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে চট্টগ্রাম বন্দরকে ক্রমশ একটি পরিত্যক্ত বন্দরে পরিণত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। লাইটারেজ জাহাজ সংকটের কারণে ব্যবসায়ীরা বহির্নোঙর থেকে পণ্য পরিবহন করতে পারছে না।
লাইটারেজ জেটি পরিচালনার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে দরপত্র প্রক্রিয়া আহ্বান করা হয়েছিল কিন্তু কে বা কারা তা বানচাল করছে দেশের স্বার্থে এদের মুখোশ উন্মোচন করা জরুরি।

তিনি বলেন, আমদানি পণ্য নিয়ে আসা জাহাজ মাল খালাসের অপেক্ষায় দাড়িয়ে থাকে সপ্তাহের পর সপ্তাহ। পৃথিবীর কোন বন্দরে এত দীর্ঘ সময় অপেক্ষমাণ থাকতে হয় না কোনো  জাহাজকে। অতিরিক্ত  জাহাজ  ভাড়া  যুক্ত  হয়  আমদানি  পণ্যে। দেশে বাড়ে  ভোগ্য  পণ্যের  দাম। বন্দরের  ১  থেকে  ৫ নম্বর  জেটি  আজ  প্রায়  পরিত্যক্ত  পলি জমার   কারণে।

তিনি যে সব পদ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অপেক্ষমাণ আছে সে সব পদে চট্টগ্রামে বসবাসরত স্থায়ী বাসিন্দাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়ার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান। বন্দরের অর্থায়নে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নামে একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল করার ঘোষণা দিয়ে এবং এ বিষয়ে ভারতের প্রখ্যাত শল্যচিকিৎসক দেবী শেঠীর সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করেও এখনো হাসপাতালের নির্মাণকাজ শুরু না হওয়ায় উদ্বেগ জানান।

বন্দর লুটেরাদের থাবামুক্ত করতে না পারলে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ কঠিন হয়ে উঠতে পারে বলে শঙ্কা জানান সুজন।

বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বন্দর মার্চেন্টস (সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস) শ্রমিক ইউনিয়নের (সিবিএ)সভাপতি মো. হাসান, সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমান, চট্টগ্রাম পোর্ট এজেন্টস স্টিভিডোরস অ্যান্ড কন্ট্রাক্টরস এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সভাপতি এমএ ইউছুফ হায়দার, সাধারণ সম্পাদক মো ফোরকান, বন্দরবিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মজুমদার, চট্টগ্রাম বন্দর ডক শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, নাগরিক উদ্যোগের সচিব হোসেন কোম্পানি, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোরশেদ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ কামরুল হোসেন, মো. শাহজাহান, নগর যুবলীগ নেতা সমীর মহাজন লিটন, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সদস্য স্বরূপ দত্ত রাজু প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৮
এআর/টিসি

 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।