স্থানীয়দের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুক্তিযোদ্ধা শেখ জাহেদ আহমদ।
তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকায় কাউন্সিলর মো. আবদুল কাদেরসহ চট্টগ্রামের ৪৫ জনপ্রতিনিধি মাদকের পৃষ্ঠপোষক উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।
পাঠানটুলী ওয়ার্ডের জনগণের বিপুল সমর্থন ও প্রত্যক্ষ ভোটে আবদুল কাদের কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর নির্বাচনী ওয়াদা পূরণে এলাকার উন্নয়নে দিনরাত কাজ করেছেন উল্লেখ করে মুক্তিযোদ্ধা শেখ জাহেদ আহমদ আরও বলেন, ‘কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলাকার রাস্তা-ঘাট, নালা-নর্দমার ব্যাপক সংস্কার কাজ চলছে। যা ইতিপূর্বে ২৮ নম্বর পাঠানটুলী ওয়ার্ডের ইতিহাসে কোনদিন এতো উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হয় নাই। এমনকি এলাকার জনসচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড তথা ইভটিজিং বন্ধ, মাদকসেবন ও বিক্রি বন্ধে ব্যাপকভাবে সামাজিক প্রতিরোধমূলক কর্মকাণ্ড শুরু করেন। বিশেষ করে যুবসমাজকে ধবংসের হাত থেকে রক্ষার জন্য মাদকের আখড়াগুলোকে গুড়িয়ে দিতে তিনি স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকার সর্বস্তরের জনগণকে সাথে নিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের প্রতিটি স্পটে হানা দিয়ে তা উচ্ছেদ করেছেন। এমনকি মাদকবিরোধী সভা, সেমিনার, উঠান বৈঠক, সেমিনার ও লিফলেট বিতরণসহ তার মাদকবিরোধী ব্যাপক কর্মকাণ্ড সিএমপির দুইটি থানা সদরঘাট ও ডবলমুরিং থানা প্রশাসন অবগত আছেন। ’
‘এসব কর্মকাণ্ডের কারণে সংঘবদ্ধ মাদক ব্যবসায়ীরা ব্যাপকভাবে ক্ষুব্ধ হয়ে ওনার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী মহলের সাথে হাত মিলিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। কাউন্সিলর আবদুল কাদের জনপ্রিয়তায় ঈষার্নিত হয়ে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়ে প্রতিশোধের নিমিত্তে প্রশাসনের বিশেষ স্তরে ভুল ও মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে ওনার ভাবমুর্তি নষ্ট করার চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। ’
আবদুল কাদেরকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে জড়ানো হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে নগরের বাইশ মহল্লা সর্দার কমিটির সহ-সভাপতি শওকত হোসেন কমরু, ২৮ নম্বর মহল্লা কমিটির সভাপতি হাসান শরীফ, চসিকের সাবেক মহিলা কাউন্সিলর নুরজাহান জাহাঙ্গীর, সাবেক প্রধান শিক্ষক সগীর আহমেদ, বাংলাবাজার সমাজের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকারিয়া, গীতিকার খুরশীদ আনোয়ার, মো. এমরান সর্দার, মো, নুর আলী সর্দার, আবু তাহের সর্দার, মো. মহসিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৮
এসবি/টিসি