ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

যে কারণে জীবিত মুরগি দেওয়া হয় না!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২২ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৮
যে কারণে জীবিত মুরগি দেওয়া হয় না! জবাই ছাড়া জীবিত মুরগি ক্রেতার কাছে বিক্রি করছেন না দোকানিরা।

চট্টগ্রাম: নগরের বিভিন্ন কাঁচাবাজারে মুরগির দোকানিরা জবাই ছাড়া জীবিত মুরগি ক্রেতার কাছে বিক্রি করছেন না।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, মুরগির দোকানিদের কাছে ওজন মাপার ডিজিটাল মেশিন নেই। বাটখারা দিয়ে ওজন করে মুরগি বিক্রি করছেন তারা।

এ সুযোগে ৭০০ গ্রাম ওজনের মুরগিকে ওই বাটখারায় ১ কেজি দেখিয়ে প্রতারণা করছেন দোকানিরা। পরে সেই মুরগি তড়িঘড়ি করে জবাই করে ক্রেতাদের বুঝিয়ে দিচ্ছেন।
জীবিত মুরগি ক্রেতা ডিজিটাল মেশিনে ওজন করবেন, এ শঙ্কায় দোকানিরা জবাই করা মুরগি বিক্রি করছেন।

শুক্রবার (২৫ মে) দুপুর ১২টা থেকে নগরের চকবাজার কাঁচাবাজারে দুই ঘণ্টা অনুসন্ধান করে এসব তথ্য জানা গেছে।

রাস্তার পাশঘেঁষে থাকা প্রথম মুরগির দোকানদার কিছুতেই জীবিত মুরগি বিক্রি করছেন না।

সরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুর রহিম এক কেজি ওজনের একটি সোনালি মুরগি দরদাম করলেন ২৮০ টাকায়। তিনি জীবিত নিতে চাইলেও দোকানি জীবিত বিক্রি করছেন না। শেষ পর্যন্ত দোকানদার তাকে কোনো মুরগি বিক্রি করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন।

আব্দুর রহিম বাংলানিউজকে বলেন, ‘দরদাম করে জীবিত একটি মুরগি বাসায় নিতে চাইলাম কিন্তু দোকানি জবাই করা ছাড়া দিচ্ছেন না। কারণ কী বুঝলাম না। প্রায় দোকানে এ অবস্থা। ’

এ ব্যাপারে জসিম উদ্দিন নামে ওই দোকানদার বলেন, ‘সমস্যা আছে, জীবিত মুরগি বিক্রি করা যাবে না। ’

তবে কী সমস্যা, সেটি তিনি বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

চকবাজার কাঁচাবাজারে মুরগির দোকান আছে ১৭টি। সব দোকানদারই জবাই করা ছাড়া ক্রেতাদের কাছে মুরগি বিক্রি করছেন না। পরে কয়েকজন দোকানদারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাটখারার পাল্লায় যে মুরগির ওজন এক কেজি দেখানো হয়, সেটি ডিজিটাল মেশিনে ৭০০-৮০০ গ্রামের বেশি হয় না। এখন কেউ যদি জীবিত মুরগি নিয়ে গিয়ে ডিজিটাল মেশিনে মাপেন তাহলে ওজন কারচুপি ধরা পড়বে। তাই কেউ জীবিত মুরগি বিক্রি করেন না।

আবুল হাশেম নামের অপর এক দোকানদার বাংলানিউজকে বলেন, জবাই করা মুরগি বিক্রি করার পর ডিজিটাল মেশিনে ওজন করলেও সমস্যা নেই। কারণ তখন ক্রেতাকে বোঝাতে পারব, জবাই করে পরিষ্কার করায় মুরগির ওজন কমে গেছে। ’

বাজার দর

এদিকে মাছের বাজারে দাম ঊর্ধ্বমুখী দেখা গেছে, বাজারে আকারভেদে রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা। এ ছাড়া বাটা মাছ ৪৮০ টাকা, কাতলা ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, চিংড়ি আকার ভেদে ৪৮০ থেকে ৬০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা, পাঙ্গাস ১৫০ টাকা, মলা মাছ ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, লইট্টা ১২০ থেকে ১৬০ টাকা, কই ৪০০ টাকা, কেচকি ২০০ টাকা ও কোরাল ৪৬০ থেকে ৫২০ টাকা।  

এদিকে গরুর মাংসের দাম বাড়লেও ছাগলের মাংসের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। গরুর মাংস প্রতিকেজি ৬৫০ টাকা ও ছাগলের মাংস ৭২০ টাকা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৮
জেইউ/টিসি

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।