ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১৪৪ কোটি আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৩ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৮
১৪৪ কোটি আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলা

চট্টগ্রাম: অগ্রণী ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্যবসায়ী দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মোট ১৪৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বৃহস্পতিবার (২২ মে) নগরের কোতোয়ালী থানায় মামলাটি দায়ের করেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক জাফর আহমেদ।

মামলার আসামিরা হলেন-মিশম্যাক শিপ ব্রেকিং ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক মিজানুর রহমান শাহীন এবং মুহিব স্টিল অ্যান্ড শিপ রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রির মালিক মজিবুর রহমান মিলন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক লুৎফুল কবির চন্দন বাংলানিউজকে বলেন, ‘অগ্রণী ব্যাংক থেকে ঋণ হিসেবে নেওয়া মোট ১৪৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্যবসায়ী দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ’

মামলার এজাহার ও দুদক সূত্রে জানা যায়, মিশম্যাক শিপ ব্রেকিং ইন্ডাস্ট্রিজের নামে বিদেশ থেকে জাহাজ আমদানির জন্য মিজানুর রহমান শাহীন অগ্রণী ব্যাংকের লালদীঘির পূর্ব পাড়ের করপোরেট শাখা থেকে বৈদেশিক ও স্থানীয় এলসির বিপরীতে মোট ৫২ কোটি ৩৯ লাখ ৮৩ হাজার ১০৭ টাকা ঋণ নেন।

পরে ঋণের কিছু টাকা তিনি পরিশোধ করেন। কিন্তু দুই বছর আগে তিনি এই টাকাসহ অন্য কয়েকটি ব্যাংকের কয়েকশ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে পালিয়ে যান।

অন্যদিকে মুহিব স্টিল অ্যান্ড শিপ রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রির মালিক মজিবুর রহমান মিলন অগ্রণী ব্যাংকের লালদীঘির পূর্ব পাড়ের করপোরেট শাখা থেকে ৯১ কোটি ৯২ লাখ ৮৪ হাজার ৩৯২ টাকা ঋণ নিয়ে বিদেশ থেকে একটি জাহাজ আমদানি করেন। ওই জাহাজের মূল্য বাবদ অগ্রণী ব্যাংক বিদেশি কোম্পানিকে টাকাও পরিশোধ করে। এরপর মজিবুর রহমান মিলন কিছু ঋণ পরিশোধও করেন। এক পর্যায়ে দুই বছর আগে তিনিও এই টাকাসহ অন্য কয়েকটি ব্যাংকের কয়েকশ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে চলে যান।

অগ্রণী ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ করে বিশ্বাস ভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগে মিজানুর রহমান শাহীন ও মজিবুর রহমান মিলনের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২২০৮ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৮

এসকে/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।