মঙ্গলবার (২২ মে) বিকেলে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শফির আদালতে শরীফা বেগম ২২ ধারায় এ জবানবন্দি দেন বলে বাংলানিউজকে জানান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবউদ্দিন আহমেদ।
কাজী শাহাবউদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে তাকে দিয়ে ‘কিছু লোক’ আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করিয়েছে বলে স্বীকারোক্তি দেন সেই নারী।
তবে তাদের নাম প্রকাশ করেননি এ পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, তাদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলবে।
আদালত স্বীকারোক্তি রেকর্ড শেষে সেই নারীকে সেফ হোমে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান কাজী শাহাবউদ্দিন আহমেদ।
মামলার বাদি শরীফা বেগম (২৬) মামলার এজাহারে তার বাবার নাম লাল মোহাম্মদ ও মায়ের নাম মোস্তফা বেগম এবং ঠিকানা হিসেবে কক্সবাজার জেলার টেকনাফের ডেইলপাড়া উল্লেখ করলেও ঠিকানাটি ভুয়া বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জহির হোসেন।
জহির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, মামলা দায়েরের পর শরীফার দেওয়া তথ্যে অসঙ্গতি পাওয়া গেলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে সে সবকিছু স্বীকার করে।
শরীফা ১০ বছর আগে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে এসেছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলায় আসামি করা হয়েছে নুরুচ্ছফা ফেরদৌস (৫০) ও মো. বোরহান (৪৫) নামের দেওয়ানহাট এলাকার দুইজনকে। তারা ব্যবসায়ী বলে উল্লেখ রয়েছে।
১৪ মে রাতে দেওয়ানহাট এলাকার রেললাইনের পার্শ্ববর্তী স্থানে নুরুচ্ছফা ফেরদৌস ও মো. বোরহান ধর্ষণ করে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন শরীফা। পরে ১৫ মে দুইজনকে আসামি করে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন শরীফা।
নিজেকে পোশাক কারখানার কর্মী দাবি করে শরীফা মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে গত ছয় মাস আগে সমুদ্রপথে বিদেশ যাওয়ার জন্য নুরুচ্ছফা ফেরদৌসকে তিনি ৫০ হাজার টাকা দেন। সেই টাকা ফেরত দেবে বলে নতুন ব্রিজ এলাকায় দেখা করতে বলেন নুরুচ্ছফা ফেরদৌস। ১৪ মে রাতে নতুন ব্রিজ এলাকায় দেখা করার পর তাকে দেওয়ানহাট এলাকায় নিয়ে ধর্ষণ করেন নুরুচ্ছফা ফেরদৌস ও বোরহান।
জহির হোসেন বলেন, মামলার তদন্ত চলছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৮
এসকে/টিসি