মঙ্গলবার (২২ মে) সকালে নগরের সার্কিট হাউসে ‘নদ-নদীর বর্তমান অবস্থা, বিদ্যমান সমস্যা এবং সমাধানে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে সিডিএকে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প দেওয়া হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, আমরা সবাই এ মাটির সন্তান, এ দেশের সন্তান।
নদীর দখল ও দূষণের বিরুদ্ধে অভিযানের আগাম তথ্যদাতাকে খুঁজে বের করার তাগিদ দিয়ে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, প্রশাসনের কেউ দখল-দূষণের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার আগাম তথ্য না দিলে দখল-দূষণকারীরা সতর্ক হয় কীভাবে?
নদী থেকে ড্রেজিং করে মাটি উত্তোলনের পর তা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, জরিপ ছাড়া কাজ করলে হবে না। পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে ড্রেজিংয়ের মাটি কোথায় ফেলতে হবে, তা নির্ধারণ করুন। অধিক স্বচ্ছতার জন্যে পুরো কার্যক্রম ভিডিও করে রাখুন।
বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মোমিনুর রশিদ আমিন এবং বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার সাহা।
বক্তব্য দেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. আলাউদ্দিন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শঙ্কর রঞ্জন সাহা।
এ সময় স্থানীয় সরকারের বিভাগীয় পরিচালক দীপক চক্রবর্তী, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) নুরুল আলম নিজামী, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও হালদা বিশেষজ্ঞ ড. মনজুরুল কিবরীয়া, বিভিন্ন জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, পানি উন্নয়ন বোর্ডের পদস্থ কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘন্টা, মে ২২, ২০১৮
এমআর/টিসি