সোমবার (২১ মে) দুপুরে চসিক মেয়রের দফতরে এ বৈঠক হয়।
বৈঠকে খোরশেদ আলম সুজন বলেন, নগরের পোর্ট কানেকটিং ও আগ্রাবাদ এক্সেস রোড দুইটি চট্টগ্রামের দুইটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক।
চসিক পরিচালিত ডোর টু ডোর কার্যক্রমের প্রশংসা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, সিটি কর্পোরেশন সত্যিকার অর্থেই একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে চলছে তাতে আমরা সত্যিই আনন্দিত। তবে প্রায় সময় দেখা যায় কোন প্রকার ত্রিপল ছাড়াই ময়লাবাহী গাড়িগুলো বর্জ্য নিয়ে সারাশহর প্রদক্ষিণ করে। এ সমস্ত কর্মকাণ্ড পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেও বলে মন্তব্য করেন তিনি।
পবিত্র রমজান মাসে ময়লা-আবর্জনা ডাম্পিং করার ক্ষেত্রে ইফতার ও নামাজের সময়সূচি অনুসরণ করারও পরামর্শের কথা জানিয়ে খোরশেদ আলম সুজন হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ের ক্ষেত্রে সাধারণ নাগরিককে ক্রোকি পরোয়ানার বাইরে রেখে সরকারি-বেসরকারি যেসব প্রতিষ্টানের হোল্ডিং ট্যাক্স দীর্ঘদিন ধরে অনাদায়ী রয়েছে তাদের কাছ থেকে ট্যাক্স আদায় করার জন্য মেয়রকে অনুরোধ করেন।
এসময় সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন নাগরিক উদ্যোগের প্রস্তাবিত বিষয় সমূহের সাথে সহমত পোষণ করে বলেন, আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর নগরের সড়কগুলোতে ওয়াসা, সিডিএ, টিএন্ডটি, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি এক সাথে প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। নগরের মূল সড়কগুলো খোঁড়াখুঁড়ির কারণে নগরবাসীর ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছিলো। এরপরেও চসিক সীমিত সাধ্যের মধ্যে নগরবাসীর দুর্দশা লাঘবে প্রয়োজনীয় সংস্কার কর্মসূচি ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে যাচ্ছে যা এখনো অব্যাহত আছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পুরোপুরি সফলতার লক্ষে আমরা চেষ্টা করছি ডাস্টবিন ও কন্টেইনারের মাধ্যমে ময়লাগুলো দ্রুত অপসারণ করার জন্য। এ জন্য নতুন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে।
তিনি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সফল করে তুলতে নগরবাসীর আন্তরিক সচেতনতা কামনা করেন এবং আবর্জনাসমূহ নালা, নর্দমা বা ড্রেনে না ফেলার আহবান জানান।
এ প্রসঙ্গে সিটি মেয়র নগরবাসীর যে কোন অভাব, অভিযোগ জানাতে হট লাইন এবং মোবাইল অ্যাপস ব্যবহারের পরামর্শ দেন।
নগরের ২ নম্বর গেইট, প্রবর্তক মোড়, বাদুরতলা, বাকলিয়া, পোর্ট কানেকটিং ও আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের জলাবদ্ধতা এবং সড়ক মেরামতের কাজ ধারাবহিকভাবে চলমান রয়েছে জানিয়ে সিটি মেয়র এ সময় মোবাইলে পোর্ট কানেকটিং রোডের নির্মাণের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সড়কটি চলাচল উপযোগি করার নির্দেশ দেন।
বৈঠকে প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার, কাউন্সিলর তারেক সোলায়মান সেলিম, হাসান মুরাদ বিপ্লব, আব্দুল কাদের, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু ছালেহ, আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, হাজী মো. ইলিয়াছ, নাগরিক উদ্যোগের সদস্য সচিব হাজী হোসেন কোম্পানি, নিজাম উদ্দিন, হাজী ছালেহ জঙ্গী, মো. শাহজাহান, অধ্যক্ষ কামরুল হোসেন, এএসএম জাহিদ হোসেন, স্বরূপ দত্ত রাজু, সরওয়াদী এলিন, মো. বেলাল, হাসান মুরাদ, আরিফুর রহমান সোহাগ, মো. পারভেজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৭ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৮
এসবি/টিসি