রোববার (২০ মে) কর্ণফুলী নদীর বোয়ালখালী অংশ ঘুরে এমন চিত্রই দেখেছেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার ও সদস্য মো. আব্দুল্লাহ। স্পিড বোটে চড়ে হালদা ও কর্ণফুলী পরিদর্শন করেন তারা।
কর্ণফুলীর বোয়ালখালী অংশে একটি কারখানা দূষিত বর্জ্য কোনো ধরনের পরিশোধন (রিসাইক্লিং) ছাড়াই সরাসরি নদীতে ফেলছে। অন্য একটি কারখানা নদীতীর দখল করে সেখানে স্থায়ী স্থাপনা তৈরি করছে, আরসিসি পিলার দিচ্ছে তারা।
এ সময় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান স্পিড বোট থামিয়ে নদীতে মাছ ধরতে আসা স্থা্নীয় লোকজনের কাছে কারখানা দু’টির পরিচয় জানতে চান।
স্থানীয়রা জানান, নদীতীরে ইট ফেলে পিলার দিয়ে স্থাপনা তৈরি করছে হাক্কানী পাল্প অ্যান্ড পেপার মিলস লিমিটেড। অন্যদিকে নদীতে দূষিত বর্জ্য ফেলছে টিকে পেপার প্রোডাক্টস লিমিটেড। এ সময় শিল্পপ্রতিষ্ঠান দু’টির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, নদীতীর থেকে ৫০ ফুট দূরত্ব রেখে স্থাপনা নির্মাণের বিধান রয়েছে। এ ছাড়াও কোনো কল-কারখানা তাদের দূষিত বর্জ্য নদীতে ফেলতে চাইলে তা রিসাইক্লিং করে ফেলতে হবে। কিন্তু এসব নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে তারা নদী দখল ও দূষণ করছেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসনকে বলেছি।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দেলোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, রোববার (২০ মে) সকালে হালদা নদীর সঙ্গে কর্ণফুলী নদীও পরিদর্শনে যাই আমরা। নদীপথে কালুরঘাট সেতু পেরোতেই চোখে পড়ে একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান ইট ফেলে এবং আরসিসি পিলারের স্থাপনা তৈরি করে নদী দখল করছে। অন্য একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের দূষিত বর্জ্য কোনো ধরনের রিসাইক্লিং ছাড়াই নদীতে ফেলা হচ্ছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি স্বীকার করে বোয়ালখালীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আছিয়া খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, দু’টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক কর্ণফুলী নদী দখল এবং নদীতে দূষিত বর্জ্য ফেলার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হালদাপাড়ের অবৈধ স্থাপনা ভাঙার কঠোর নির্দেশ
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৮
এমআর/টিসি