রোববার (২০ মে) সকালে প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী পরিদর্শনে এসে তিনি এ নির্দেশ দেন।
পরিদর্শন শেষে মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, হালদা নিয়ে সরকার সংবেদনশীল।
তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞ কমিটি দখল-দূষণ থেকে হালদা রক্ষায় একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
ক্রমন্বয়ে নদী দখল বাড়ছে। স্লুইচগেট যেকটি আছে সেগুলো ঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে না। খন্দকিয়া খালের মাধ্যমে যেভাবে দূষিত পানি হালদায় ঢুকছে তা পোনা উৎপাদনকে ব্যাহত করছে। এসব থেকে উত্তরণের উপায় খুঁজতে হবে। যোগ করেন মুজিবুর রহমান হাওলাদার।
দখলদাররা রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী উল্লেখ করে তিনি বলেন, অবৈধ দখলদাররা রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে প্রভাব বিস্তার করতে চায়। এখানেও যেটুকু দেখেছি তার ব্যত্যয় ঘটেনি। স্থানীয় প্রশাসন হালদাপাড়ের সব ইটভাটা বন্ধ করে দিলেও একটি ইটভাটা বন্ধ করতে পারেনি। কারণ ইটভাটার মালিক একটি রাজনৈতিক দলের পদস্থ ব্যক্তি।
আমরা তাকে কমিশনের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানাই, দেশের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে তিনি ইটভাটা সরিয়ে নেবেন। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাবেন। বলেন মুজিবুর রহমান হাওলাদার।
এর আগে সকাল ১০টায় মদুনাঘাট দিয়ে স্পিডবোটে হালদা পরিদর্শন শুরু করেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান।
দক্ষিণ মাদার্শা, উত্তর মাদার্শা ঘুরে মোহরা, কালুরঘাটে গিয়ে পরিদর্শন শেষ করেন তিনি। হালদা রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ নির্মাণ কার্যক্রমও ঘুরে দেখেন তিনি।
এ সময় জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সদস্য মো. আলাউদ্দিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও হালদা গবেষক ড. মনজুরুল কিবরীয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দেলোয়ার হোসেন, সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের মেজর নুর জামান, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী স্বপন কুমার বড়ুয়া, হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আখতারুন্নেছা শিউলী উপস্থিত ছিলেন।
২২৬৮০ কেজি মাছের ডিম সংগ্রহ হালদায়
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৮
এমআর/টিসি