ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আগ্রাবাদে জলাবদ্ধতা, নিরসনে এলাকাবাসীর ৫ দফা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৯ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৮
আগ্রাবাদে জলাবদ্ধতা, নিরসনে এলাকাবাসীর ৫ দফা জলাবদ্ধতায় প্রতিদিনের ন্যায় আগ্রাবাদ এলাকার লোকজনকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।। ছবি: উজ্জ্বল ধর

চট্টগ্রাম: নগরের ২৪ নম্বর উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ডের মুহুরীপাড়া, গুলবাগ, দাইয়াপাড়া ও উত্তর আবাসিক এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনকে ৫ দফা দাবি সম্বলিত একটি স্বারকলিপি প্রদান করেছে।

শনিবার (১৯ মে) সকালে নগরের দাইয়াপাড়ার একটি অনুষ্ঠানে ৫ দফা দাবি সম্বলিত এ স্মারকলিপি প্রদান করেন প্রজন্ম সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।   

এদিকে, জোয়ারের পানিতে শনিবার (১৯ মে) দুপুরে নগরের আগ্রাবাদ এক্সেসরোডে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।

এতে প্রতিদিনের ন্যায় আগ্রাবাদ এলাকার লোকজনকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।

জোয়ার আসলেই এই এলাকার নিম্নাঞ্চলের বাসাবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ওঠে যায়।

এলাকাবাসীর দুর্ভোগ বেড়ে যায়।

জলাবদ্ধতায় প্রতিদিনের ন্যায় আগ্রাবাদ এলাকার লোকজনকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। ছবি: উজ্জ্বল ধরএলাকাবাসীর অনেকে জোয়ার-ভাটার সময় দেখে বাসা-বাড়ি থেকে বের হওয়ারও খবর পাওয়া গেছে।  

সিটি মেয়রকে দেওয়া স্মারকলিপি উল্লেখ করা হয়, ‘উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ডের একেবারে শেষ এবং নিম্নাংশে মুহুরীপাড়া, গুলবাগ, দাইয়াপাড়া ও উত্তর আবাসিক এলাকা। এসব এলাকা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে প্রতিনিয়ত জলমগ্ন থাকে। আগ্রাবাদ এক্সেস রোড, সিডিএ আবাসিক এলাকাও মহেষখালের জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়। এতে এলাকাবাসীর দুর্বিষহ কষ্ট বর্ষাকাল জুড়ে লেগে থাকে। ’

জলদুর্ভোগ থেকে রক্ষা করার জন্য স্মারকলিপিতে মেয়রের নিকট উত্থাপিত দাবিগুলো হল- ‘মুহুরীপাড়ার দক্ষিণাঞ্চল অর্থাৎ মুহুরীপাড়ার মোড় থেকে গুলবাদ আবাসিক এলাকা ফুলকলির মোড় পর্যন্ত বিধ্বস্ত সড়কটি সংস্কারকরণ এবং নতুন এক্সেস রোডের উচ্ছতায় সমন্বয় করে পূণ‍ঃনির্মাণ করা, মুহুরীপাড়া, উত্তরা আবাসিক এলাকা, দাইয়াপাড়া ও গুলবাগ আবাসিক এলাকার ড্রেনগুলো সংস্কার ও সম্প্রসারণ করা, মুহুরীপাড়ার শেষ প্রান্তে কালভার্টের স্থান থেকে গুলবাগ আবাসিক এলাকার ওপর দিয়ে রাস্তার মাঝখানে নির্মিত অকার্যকর ড্রেনটিকে বৃহদাকারে পুনঃনির্মাণ করণ, মুহুরীপাড়া রোডের পার্শস্থ বাইলেনগুলোকে সিটি করপোরেশনের আওতায় সংস্কার ও উন্নয়ন সাধন এবং মুহুরীপাড়ার দক্ষিণাংশে অবস্থিত একটি পরিত্যক্ত সরকারি বাড়ি রয়েছে। যেখানে দুটি পরিবার নাম মাত্র ভাড়ায় বসবাস করছে। যার কোন বৈধতা নেই।

মেয়রকে ৫ দফা দাবি সম্বলিত এ স্মারকলিপি প্রদান করেন প্রজন্ম সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। স্মারকলিপিতে তারা সে বাড়িটি সিটি করপোরেশনের আওতায় এনে একটি বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ স্থাপন করার দাবি জানান।

মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন স্মারকলিপি গ্রহণ করে স্মারকলিপিতে বর্ণিত দাবিসমূহ যুক্তি সংগত বলে উল্লেখ করে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আশ্বাস দিয়ে বলেন, চসিক রাজস্ব আয়ের ওপর ভিত্তি করে নগরীর নালা-নর্দমা থেকে মাটি ও আবর্জনা উত্তোলনের ক্রাস প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করছে। যাতে নালাগুলো সচল থাকে।

জলাবদ্ধতা নিরসন প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রী জলাবদ্ধতা নিরসনে সিডিএকে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার মেগাপ্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় বর্তমানে ৫০০ কোটি টাকার কাজ করছে সিডিএ। সেনাবাহিনীর মাধ্যমে চলমান নালা থেকে মাটি উত্তোলন কার্যক্রম শেষ হলে চলতি বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

নালা-নর্দমা, খাল-বিলে ও যত্রতত্র আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহবান জানান মেয়র।

স্মারকলিপি প্রদানের সময় প্রজন্ম সংগঠনের উপদেষ্টা মো. বেলাল হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল লতিফ, মো. আবু মুছা চৌধুরী, সংগঠনের সভাপতি মো. গোলাম সরওয়ার খোকন, সাধারণ সম্পাদক এম এনাম কবির রাব্বী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৮

এসবি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।