ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চমেকের অর্থোপেডিক ওয়ার্ডের বেহাল অবস্থা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৪ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৮
চমেকের অর্থোপেডিক ওয়ার্ডের বেহাল অবস্থা চমেক হাসপাতালের অর্থোপেডিক ওয়ার্ডে রোগীর ঠাসাঠাসিতে চিকিৎসকরাও হিমশিম খাচ্ছেন। ছবি: সোহেল সরওয়ার

চট্টগ্রাম: ওয়ার্ডে রোগী ‍আর রোগী। মেঝে আর বারান্দায় হাঁটারও জায়গা নেই। বাতাসে ব্যান্ডেজ আর রক্তের গন্ধ। এ অবস্থা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ৫ম তলার ২৬ নম্বর অর্থোপেডিক ওয়ার্ডের।

রোগীর ঠাসাঠাসিতে চিকিৎসকরাও হিমশিম খাচ্ছেন। রোগীরা ভর্তি হয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার হলেও চিকিৎসকের দেখা পাওয়া দুষ্কর।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চিকিৎসকদের মধ্যে রয়েছে সমন্বয়হীনতার অভাব।

রাউজান উপজেলা থেকে আসা হুমায়ুন কবির (২৪)।

কাজ করতে গিয়ে হাঁটুতে ব্যথা পেয়ে অর্থোপেডিক ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন। তাকে নিয়ে এসেছেন বড় ভাই নুর কবির।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘দুদিন হলো, আমার ছোট ভাইকে (হুমায়ুন কবির) ভর্তি করিয়েছি। প্রথম দিন ভর্তি হয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এক চিকিৎসক অস্ত্রোপাচার করতে বলেন। কিছুক্ষণ পর আরেক চিকিৎসক এসে বলেন প্লাস্টার করালেই চলবে। পরদিন এসে তারা হাঁটুতে প্লাস্টার করিয়ে দেন। ’

চমেক হাসপাতালের অর্থোপেডিক ওয়ার্ডে রোগীর ঠাসাঠাসিতে চিকিৎসকরাও হিমশিম খাচ্ছেন।  ছবি: সোহেল সরওয়ারওই ওয়ার্ডে গিয়ে এক চিকিৎসকের সঙ্গে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এরকম মাঝে-মধ্যে হয়ে থাকে। একেক জনের চিন্তা ভাবনা একেক রকম। রোগী ভালো হলেই হলো। ’

বৃহস্পতিবার (১৭ মে) চমেক হাসপাতালের অর্থোপেডিক ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি ছিল প্রায় আড়াইশ জন। অথচ ওয়ার্ডে মূল শয্যা ৮৮টি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রোগীর শয্যা সংকটের কারণে এ বিভাগের প্রতিদিনই অবস্থা এরকমই। রোগী বেশি থাকায় এভাবেই চলছে চিকিৎসাসেবা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভেতরে জায়গার সংকুলন না হওয়ায় সিঁড়ির পাশেও শয্যা পেতে কয়েকজন রোগীকে দেখা গেছে। ওয়ার্ডের ভেতরে সিটের পাশাপাশি নিচেও শয্যা পেতে রোগীর চিকিৎসাসেবা চলছে।

হাড় ভেঙে চিকিৎসা করতে আসা মোরশেদুল আলম বলেন, ‘দিনে একবার চিকিৎসকের দেখা পাই। মাঝে-মধ্যে আসেনও না। যেদিন আসেন না, সেদিন নার্স দিয়ে চিকিৎসা হয়। ’

বহদ্দরহাট মোড় থেকে আসা আবুল কালাম বলেন, ‘এই ওয়ার্ডে টয়লেটের অবস্থা খুবই খারাপ। নোংরা-দুর্গন্ধ। তেমন পরিষ্কার করা হয় না। ’

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চমেক হাসপাতালের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, ‘অনেকে পরামর্শ দিয়ে থাকেন ওয়ার্ডে শয্যা বাড়ানোর। সিটের চেয়ে রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় আসলে কিছুই করার থাকে না। এ সমস্যা নিরসনে চট্টগ্রামে আরও একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা জরুরি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৮

জেইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।