বিকেল ৩টায় নগরের ঐতিহ্যবাহী রিয়াজ উদ্দিন বাজারে যান জেলা প্রশাসক। সেখানে ফল, সবজি, মাছ, মাংস, মুরগিসহ নিত্য ভোগ্যপণ্যের বাজার ঘুরে দেখেন তিনি।
এসময় মূল্য তালিকা না রাখায় এক মুদির দোকানিকে ১ হাজার টাকা এবং অতিরিক্ত মূল্যে সবজি বিক্রির দায়ে এক সবজি বিক্রেতা দিদারকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করেন তিনি।
এছাড়াও মূল্য তালিকা দোকানের নির্দিষ্ট স্থানে রাখতে, মুরগি ও মাংসের দাম বেশি না রাখতে এবং সবজির দাম পাইকারি ও খুচরা বাজারের সাথে সামঞ্জস্য রাখতে একাধিক দোকানিকে সতর্ক করেন জেলা প্রশাসক।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হাবিবুর রহমান, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম, রিয়াজ উদ্দিন বাজার বণিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বিএসটিআই চট্টগ্রামের প্রতিনিধি, ক্যাবের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাঈমা ইসলাম, নিবেদিতা চাকমা এবং নওশের ইবনে হালিমের নেতৃত্বে নগরের আতুরার ডিপু, কর্ণফুলী মার্কেট, কর্ণেলহাট বাজার, কাজির দেউড়ি বাজার এবং পাহাড়তলী বাজারেও বাজারদর মনিটরিং করা হয়।
আতুরার ডিপু এবং কর্ণফুলী মার্কেটে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ৩ মাংস বিক্রেতাকে ভোক্তা অধিকার আইনে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করেন নাঈমা ইসলাম।
অন্যদিকে, পাহাড়তলী বাজারে ভেজাল ঘি, পণ্যের মূল্য তালিকা না থাকা এবং ওজনে কম দেওয়াসহ বিভিন্ন কারণে ১ মাংস বিক্রেতা ও ৬ মুদি দোকানিকে বিএসটিআই অধ্যাদেশ এবং ভোক্তা অধিকার আইনে ৩৩ হাজার টাকা জরিমানা করেন নিবেদিতা চাকমা।
এছাড়াও কর্ণেলহাট বাজার এবং কাজির দেউড়ি বাজারে মেয়াদোত্তীর্ণ ছানা বিক্রি করায় এক মুদি দোকানিকে ৫০০ টাকা এবং ওজনে কম দেওয়ায় এক মাংস বিক্রেতাকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করেন নওশের ইবনে হালিম।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩১ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৮
এমআর/টিসি