কয়েকদিন আগের একটি ঘটনায় ওই বিভাগের ওপর ক্ষোভ থেকে তারা এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে বিভাগ ও তদন্ত কমিটি সূত্রে জানা গেছে।
বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত ২২ এপ্রিল থেকে ওই বিভাগের প্রথম বর্ষ থেকে মাস্টার্স কোর্সের পরীক্ষাগুলো শুরু হয়।
ওই বিভাগের এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ওই দুই ছাত্রের ঝামেলা হওয়ার পর তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
তদন্ত কমিটির সদস্যসচিব লিটন মিত্র বাংলানিউজকে বলেন, ‘এটি পরিকল্পিত ঘটনা। কারা জড়িত এ ব্যাপারে প্রাথমিকভাবে জানতে পারলেও, তদন্তের স্বার্থে পুরোপুরি বলা যাচ্ছে না। ’
তদন্ত কমিটিতে থাকা এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা দুই ছাত্রকেই সন্দেহ করছি। এত বড় ঝুঁকি শুধু তারাই নেবে। ’
বিভাগের সভাপতি অছিয়র রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘পরীক্ষা চলাকালীন একটি ঘটনা ঘটেছিল। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এ ঘটনা ঘটিয়েছে কিনা তা তদন্ত কমিটি বের করবে। ’
বুধবার (১৬ মে) সকাল সাড়ে আটটায় বিভাগের অফিস রুম, সভাপতির রুম ও স্টোর রুমের তিনটি তালা কাটা অবস্থায় দেখেন বিভাগের অফিস সহকারী শামসুল আলম। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে স্টোর রুমে ঢোকেন তিনি। সেখানে ৯টি কোর্সের ১১ ব্যান্ডেল পরীক্ষার উত্তরপত্র দেখতে না পেয়ে বিভাগের সভাপতিকে জানান তিনি। পরে বিভাগের সভাপতি, ডিন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করলে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ সময় স্টোর রুমে থাকা ক্লোজসার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করলেও রাত ১২টার পরের কোনো ফুটেজ পাওয়া যায়নি। পরে ফ্যাকাল্টির পাশের জঙ্গলে পরিত্যক্ত অবস্থায় কিছু খাতা দেখতে পান। ওই ভবনের ছাদে গিয়ে আরও কিছু উত্তরপত্র পোড়ানো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন শামসুল আলম।
শামসুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা খুব কৌশলে কাজটি করেছে। তারা প্রথমে সিসি ক্যামেরা নষ্ট করে। তারপর তালা ভেঙে উত্তরপত্র চুরি করে পুড়িয়ে ফেলে।
চবিতে পরীক্ষার উত্তরপত্র পুড়িয়ে দিলো দুর্বৃত্তরা
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৮
জেইউ/টিসি