রোববার (১৩ মে) সকাল ৯টায় জিইসি মোড়ে তাকে দেখা যায় একাই যানজট নিরসনের চেষ্টা করছেন। শুধু জিইসি মোড় নয়, দুই নম্বর গেট, প্রবর্তক মোড় ও লালখানবাজারেও বাঁশি হাতে দেখা গেছে ট্রাফিক পুলিশকে।
পথচারীরা বলছেন, মোড়ে মোড়ে পর্যাপ্ত পুলিশ নেই। থাকলেও ভালো করে দায়িত্ব পালন করেন না তারা।
ট্রাফিক পুলিশ জামান বাংলানিউজকে বলেন, দায়িত্বরত থাকাবস্থায় চেষ্টা করি যানজট নিরসনে।
তার দাবি জিইসি মোড়ে কোনো গাড়িকে দাঁড়াতে দেন না। কিন্তু দেখা গেল মোড়ে মোড়ে সারি সারি গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে। একটু পর আসেন ট্রাফিক পুলিশের এক সার্জেন্ট। তার সামনেই দেখা গেল, রিকশা, বাস এমনকি কয়েকটি ট্রাক থেমে থাকতে।
পরে অবশ্য সংবাদকর্মী পরিচয় দেওয়ার পর ভালোভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
নগরের দুই নম্বর গেটের অবস্থাও একই রকম। সেখানেও একজন পুলিশকেই দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। কখনো তিনি বাঁশিতে ফুঁ দিচ্ছেন। কখনো আবার দাঁড়িয়ে থাকা বাস চালাতে বাধ্য করছেন চালককে। কিন্তু কেউ মানছেন আবার কেউ মানছেন। ফলে বাস, সিএনজি অটোরিকশা, ছোট গাড়ি আর বাসের দীর্ঘ লাইন পড়তে দেখা গেছে। অসহায় এ পুলিশ সদস্যরা কেবল কপালের ঘাম মুছছেন।
অফিসগামী সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘জিইসি মোড় ও দুই নম্বর গেটে প্রায় সময় একজন পুলিশকেই দায়িত্ব পালন করতে দেখছি। কোনো কোনো সময় সার্জেন্ট থাকে আবার কোনো সময়ে থাকে না। যখন সার্জেন্ট থাকে তখন গাড়িচালকেরা ট্রাফিক পুলিশের নির্দেশ মানেন। অন্যসময় মানেন না।
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সজাগ থাকা দরকার। যাতে কোনোভাবেই সড়কে যানবাহন থেমে না থাকে। ’
নিউমার্কেট মোড়ে অসহায় ট্রাফিক পুলিশ
সড়কে গাড়ি দাঁড়ালেই যানজট জিইসি মোড়ে
যাত্রী তোলার অসুস্থ প্রতিযোগিতা বহদ্দারহাট মোড়ে
গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনার দায়িত্ব নিয়েছি: নাছির
বাংলাদেশ সময়: ১১২৭ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৮
জেইউ/এআর/টিসি