ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনার দায়িত্ব নিয়েছি: নাছির

তপন চক্রবর্তী, ব্যুরো এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫০২ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৮
গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনার দায়িত্ব নিয়েছি: নাছির চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন

চট্টগ্রাম: নগরের গণপরিবহন ও যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা আনার দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের না হলেও জনগণের দুর্ভোগের কথা মাথায় রেখে নিজে দায়িত্ব নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

তিনি বলেন, বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের গণপরিবহনগুলোর বিশৃঙ্খলা এখন চরমে পৌঁছেছে। এ অবস্থা থেকে বের হতে হবে।

শৃঙ্খলা আনতে রমজান মাসেই কাজ শুরু করতে চাই। তাই পুরো মাসজুড়ে দুইজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পরিচালিত হবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান।

রোববার (১৩ মে) সকালে বাংলানিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

মেয়র বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর স্বপ্ন ছিল চট্টগ্রামকে একটি বিশ্বমানের নগর হিসেবে গড়ে তুলবো। সেই লক্ষ্য ও পরিকল্পনা নিয়ে আমি কাজ করে চলেছি। বর্তমানে গণপরিবহনে যে বিশৃঙ্খলা চলছে তা শৃঙ্খলার মধ্যে ফিরিয়ে আনা যদিও সরাসরি আমার দায়িত্ব না হলেও সে দিকে আমি জোর দিয়েছি।  কারণ জনগণ এর দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।  

তিনি বলেন, যদিও যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা আনার দায়িত্ব সরাসরি আমার নয়। তবুও জনগণের দুর্ভোগের কথা মাথায় রেখে দায়িত্ব নিয়েছি। জনগণের ভোগান্তি কমানোটাই একজন জনপ্রতিনিধি, মেয়র হিসেবে আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। ইতোমধ্যে আমি বেশ কিছু পরিকল্পনা নিয়েছি, যেগুলো কার্যকর করতে যাচ্ছি। একটি যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নগরবাসী যানজটের যে অসহনীয় দুর্ভোগ তা থেকে মুক্তি পাবে।

মেয়র বলেন, ব্যস্ততম সড়কে যানবাহনগুলো এলোপাতাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে। যখন-তখন যাত্রী তোলে আর নামায়। আড়াআড়ি, পেছনের দিক বাঁকা করে দিয়ে গণপরিবহনগুলো দাঁড়িয়ে থাকে। এসব গাড়িচালকদের মধ্যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলছে। সেগুলো দমন করতে পারলে যান চলাচল শৃঙ্খলায় আসবে। সব গাড়ি এক ছাতার নিচে আসবে।

বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, একেকটি রুটের সব মালিককে একেকটি কোম্পানির বা ব্যবস্থাপনায় অধীনে নিয়ে আসার কাজ শুরু করেছি।   নির্দিষ্ট সময় পর পর সব গাড়ি চলবে, দিনশেষে যে লাভ হবে সব মালিককে গাড়িপ্রতি সমভাবে বণ্টন করে দেওয়া হবে।

একেকটি রুটের অনুমোদিত সব গাড়ি একই ব্যবস্থাপনায় চলবে। এটি হতে পারে কোম্পানির মতো, হতে পারে সমিতির হাতে। নির্দিষ্ট সময় পরপর গাড়ি ছাড়বে। যাত্রীরা তাড়া থাকলে দাঁড়িয়ে যাবে। নয়তো পরের গাড়ির জন্য অপেক্ষা করবে। যোগ করেন মেয়র নাছির।

আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, বর্তমানে গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক-যাত্রী সবাই একবাক্যে স্বীকার করবেন বিশৃঙ্খলা চলছে। কিন্তু যারা এ বিশৃঙ্খলার সুযোগে ফায়দা লুটছে, তারাই কিন্তু একীভূত করার কাজে বাধা দেবে। নানাভাবে তারা চেষ্টা করবে উদ্যোগটা যাতে আলোর মুখ না দেখে। কিন্তু কঠিন হলেও আমি কাজটি করে দেখাতে চাই।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়মিত সভা হচ্ছে। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) এ ব্যাপারে আগ্রহী। বিআরটিএও সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবে বলেছে। এখন শুধু জনমত তৈরি করতে হবে। এটা আমি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। নগরবাসীর সহযোগিতা চাই।

বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৮
টিসি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।