রোববার (১৩ মে) সকাল সাড়ে ৯টায় দেখা গেছে এমন চিত্র।
জিইসি মোড়ের একদিকে গোলপাহাড় অন্যদিকে এমইএস কলেজে যাওয়ার পথ, ওআর নিজাম রোড।
কিন্তু সে সবের তোয়াক্কা করার বালাই নেই। যে যার মতো তাদের গাড়ি চালাচ্ছে। দিনের ব্যস্ত সময়ে বাস-ট্রাকের সারি পড়ে যাচ্ছে রাস্তায়। ফল, দীর্ঘ যানজট।
এমইএস কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র কমল কান্তি বিশ্বাস বললেন, সাড়ে ৯টায় ক্লাস। যানজটের জন্য সঠিক সময়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েও কলেজে পৌঁছাতে দেরি হয়। সড়কে যতটা না গাড়ি চলে, এর চেয়ে বেশি গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। এ জন্য যানজট বেড়েই চলছে।
আগ্রাবাদে অফিসে যাচ্ছিলেন হুমায়ুন কবির। জিইসি মোড়ে তিনি নেমে গেলেন। বাংলানিউজকে বললেন, দুই নম্বর গেট থেকে বাসে উঠেছি সাড়ে আটটায়। এখন ৯টা। এ পর্যন্ত আসতে আটবার বাস থেমেছে। জিইসি মোড়েও অনেক্ষণ দাঁড়িয়ে আছে। তাই নেমে গেছি, সিএনজি অটোরিকশা করে যাওয়ার জন্য।
তিনি বলেন, পুলিশ শুধু চেয়ে থাকে। তারা আসলে ট্রাক-বাস নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। সারি সারি গাড়ি সড়কের ওপর থমকে থাকার কারণেই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। '
জিইসি কনভেনশন সেন্টার ও বাওয়া স্কুলের সামনে গাড়ির সারি। একই অবস্থা দুই নম্বর গেটের কর্ণফুলী মার্কেটের সামনেও। সেখানে রাস্তার দু’দিকেও জবরদখলের জেরে হাঁটা দায়। স্থায়ী দোকান তো আছেই, পাশাপাশি ভাসমান দোকানেও চলছে বিকিকিনি।
বাংলাদেশ মহিলা সমিতি (বাওয়া) স্কুলের জসিম উদ্দিন নামে এক শিক্ষক বলেন, পুলিশের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় জিইসি মোড়ে দিনের বেশির ভাগ সময় যানজট থাকে। রাস্তায় নিয়ম ভেঙে ট্রাক-বাস চলাচল করে। এতেই পথচলতি মানুষ সমস্যায় পড়ছেন। '
দুই নম্বর গেটে দায়িত্বে থাকা এক পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সব পুলিশ আন্তরিক না। সবাই আন্তরিক হলে, এক মিনিটও যানজট থাকার কথা না। মন্ত্রী বা ঊর্ধ্বতন কেউ আসলে আমরা সড়কে যেভাবে দায়িত্বপালন করি সেভাবে করতে পারলে যানজট পালাবে। তবুও কয়েকজন নিজের দায়িত্ববোধ থেকে যানজট নিরসনে চেষ্টা করছেন।
যাত্রী তোলার অসুস্থ প্রতিযোগিতা বহদ্দারহাট মোড়ে
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫১ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৮
জেইউ/এআর/টিসি